জমে উঠেছে নটিংহ্যাম টেস্ট। জো রুটের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ ব্যাট করে বোর্ডে ৩০৩ রান তোলে ইংল্যান্ড। ফলে ভারতের সামনে টেস্ট জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০৯ রান।চতুর্থ দিনশেষে ভারতের সংগ্রহ ছিল কেএল রাহুলের উইকেট হারিয়ে ৫২। পঞ্চম দিনে সফরকারী দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন আরও ১৫৭ রান।চতুর্থ দিন বিনা উইকেটে ২৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। শুরুতেই জোড়া ধাক্কা খায় স্বাগতিক দল।দিনের পাঁচ নম্বর ওভারে স্বাগতিকদের প্রথম উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ সিরাজ। ররি বার্নসকে ১৮ রানে ফেরান এই পেইসার।পরের ওভারে ৬ রান করা জ্যাক ক্রলি জাসপ্রিত বুমরাহর বলে উইকেটে পেছনে ক্যাচ দেন।দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ফেলা ইংল্যান্ডকে সামাল দেন অধিনায়ক জো রুট। তিন নম্বরে নেমে আস্থার সঙ্গে ব্যাট করেন এই ডানহাতি।প্রথমে তৃতীয় উইকেটে ৮৯ রানের জুটি গড়েন ডমিনিক সিবলির সঙ্গে। বুমরাহ ২৮ রান করা সিবলিকে আউট করে জুটি ভাঙেন।সিবলির আউট হওয়ার পর অধিনায়ককে সঙ্গ দেন জনি বেয়ারস্টো। চতুর্থ উইকেটে ৪২ রান যোগ করে রুট-বেয়ারস্টো জুটি। বেয়ারস্টো ৩০ রান করে আউট হন সিরাজের বলে।রুট উইকেট দীর্ঘক্ষণ থাকলেও বড় কোনো জুটি গড়তে পারেননি। একাই লড়ে যান একপ্রান্ত আগলে রেখে। ভারতীয় পেইস অ্যাটাক সামলে নিজের ২১তম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন ইংলিশ অধিনায়ক।সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১০৯ রান করে বুমরাহর বলে কট বাহাইন্ড হন রুট।এরপর আর কোনো ব্যাটসম্যানই ইনিংস বড় করতে পারেননি। টেইলএন্ডে স্যাম কারেন ও ওলি রবিনসনের ব্যাটে তিন শ পার করে ইংল্যান্ড।শেষ পর্যন্ত ৩০৩ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক দল। রুটের পর ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন কারেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৩২।ভারতের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন বুমরাহ। ক্যারিয়ারে ষষ্ঠবারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট নেন তিনি। ৫ উইকেট নিতে ৬৪ রান খরচ করতে হয় তাকে। সিরাজ ও শার্দুল ঠাকুর ২টি করে উইকেট নেন।ইংল্যান্ডকে অলআউট করে ১৫ ওভারের মতো ব্যাট করার সময় পায় ভারত। ওপেনার কেএল রাহুলের উইকেট হারিয়ে দিনশেষ করে সফরকারী দল।২৬ রান করে স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে জস বাটলারের হাতে ধরা পড়েন রাহুল। এক উইকেটে ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করে ভারত।
রোহিত শর্মা ও চেতেশ্বর পুজারা দুই জনই ১২ রান নিয়ে উইকেটে ছিলেন।