জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর ধারণা করা হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও দলের হয়ে দুর্দান্ত কিছু উপহার দেবেন সৌম্য সরকার। দেখা গেল ভাবনার উল্টোটা। অজিদের বিপক্ষে চলতি টি-টোয়েন্টি সিরিজের এখন পর্যন্ত চার ম্যাচের একটিতেও হাসেনি তার ব্যাট।
টানা তিন জয়ে এরই মধ্যে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা। দল সাফল্য দেখিয়ে গেলেও ব্যর্থতার বৃত্তেই ঘুর্ণিপাক খাচ্ছেন সৌম্য।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩ আগস্ট প্রথম ম্যাচে অজিদের ২৩ রানে হারায় বাংলাদেশ। দলের শুভ সূচনার দিন সৌম্যর ব্যাট থেকে আসে ২ রান। জশ হেইজলউডের বলে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় তাকে।
দ্বিতীয় ম্যাচে আরও বেশি দৈন্যদশা পেয়ে বসে সৌম্যকে। এবার রানের খাতাই খুলতে পারেননি। ফুল ল্যান্থের বল পেয়েও সেটি কাজে লাগাতে পারেননি। বল ব্যাট ফাঁকি দিয়ে স্ট্যাম্প এলোমেলো করে দেয়। অবশ্য তার বাজে পারফরম্যান্স দলে প্রভাব ফেলেনি। ৫ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা।
আশা করা হচ্ছিল প্রথম দুই ম্যাচের ব্যর্থতা কাটিয়ে হয়তো তৃতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবেন এই ওপেনার। তা পারেননি। প্রথম ম্যাচের মতো এবারও ফিরতে হয় ২ রান করে। তাকে শিকারে পরিণত করেন অ্যাডাম জাম্পা।
সৌম্যর ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা আরও প্রলম্বিত হলো। চতুর্থ ম্যাচেও হতাশ করলেন এই বাহাঁতি ব্যাটসম্যান। তাকে ৮ রানেই উইকেট ছাড়া করেন হেইজলউড।
এই সৌম্যর ব্যাটই হেসেছিল কিছুদিন আগে জিম্বাবুয়ে সিরিজে। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৫০ রান। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ব্যর্থ (৮) হলেও তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে দাপট দেখান। করেন ৬৮ রান।
তবে এর আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজেও খুব একটা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেননি এই ওপেনার। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে একটি মাত্র অর্ধশতকের দেখা পেলেও বাকি দুই ম্যাচে ছিলেন একেবারেই নিষ্প্রভ।
কিউইদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডেতে সিরিজে ছিলেন একেবারেই ব্যর্থ। সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৩২ রানের।
চলতি বছরের শুরুতে ক্যারিবীয় সিরিজে এক টেস্ট খেলে দুই ইনিংস মিলিয়ে করেছিলেন ১৩ রান। আর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এক ম্যাচ খেলে করেছিলেন ৭ রান।
সৌম্যর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ছাড়া অন্য কোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে রানের দেখা পাননি তিনি।
তবে কী ভালো দলের বিপক্ষে খেলার মানসিক শক্তিটাই এখনও হয়ে ওঠেনি ২৮ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের!