বাংলাদেশের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে তোপের মুখে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া দল ও টিম ম্যানেজমেন্ট। মার্ক টেইলরের মতো সাবেক গ্রেটরা শুধু অস্ট্রেলিয়া দলই নয় প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন পুরো ক্রিকেট সিস্টেমকেই।৫ ম্যাচ সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচ হারে প্রথমবার বাংলাদেশের কাছে কোনো ফরম্যাটে সিরিজ হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। এটি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তাদের টানা পঞ্চম সিরিজ হার।টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দলের এমন পারফরম্যান্সে নাখোশ সাবেক অধিনায়ক মার্ক টেইলর। দুর্বল দল নিয়ে খেললেও ম্যাচ নাগালের মধ্যে পেয়ে শেষ করে না আসাতে ক্ষুব্ধ তিনি।অস্ট্রেলিয়ার পত্রিকা সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে টেইলর বলেন, ‘দুঃখজনক ব্যাপারটা হচ্ছে যে একমাত্র মিচেল মার্শ পারফর্ম করেছে। আমি জানি দলে স্মিথ, ফিঞ্চ, ওয়ার্নার ও ম্যাক্সওয়েল নেই। দলটা অনেকটা এ-দলের মতো। তারপরও ৫০ বলে ৭০ কিংবা ২৫ বলে ৫০ করার মতো ব্যাটসম্যান দলে থাকার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশে তেমনটা হয়নি।’দলের বিপর্যয়ে হাল ধরতে তিন অভিজ্ঞ তারকার থেকে প্রত্যাশা করছেন টেইলর। বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ম্যাথিউ ওয়েড, অ্যালেক্স ক্যারি ও মোয়েজেস এনরিকেসের কাছ থেকে পরের ম্যাচগুলোতে পারফর্ম্যান্স চান সাবেক এই অধিনায়ক। টেইলর যোগ করেন, ‘তারা এমন তিনজন খেলোয়াড় যারা অনেকদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। দুঃখজনক যে তারা দলে এখনও নিজের জায়গা পোক্ত করতে পারেননি। তিনজনের অন্তত দুইজন সফরে ভালো করবেন এমনটা প্রত্যাশা ছিল।’টেইলরের হাত ধরেই সর্বজয়ী অস্ট্রেলিয়ান দলের শুরু হয়। তখনকার ক্রিকেট সংস্কৃতির সঙ্গে এখনকার বিস্তর ফারাক দেখছেন তিনি। তখনকার দিনে দলে সুযোগ পেতে ক্রিকেটারদের অনেক বেশি চেষ্টা করতে হতো মনে করেন টেইলর।তিনি বলেন, ‘আমাদের সময়ে টেস্ট ম্যাচে সুযোগ পাওয়ার জন্য এক ঝাঁক ক্রিকেটার অপেক্ষা করত। স্টুয়ার্ট ল ও মার্টিন লাভের মতো ব্যাটসম্যান দলে জায়গা পেতেন কম। কারণ নতুনদের ওপর পারফর্ম করার চাপ থাকতো ও তাদের জায়গা নেওয়ার জন্য অন্যরা উন্মুখ হয়ে থাকতো।ল্যাঙ্গার, হেইডেন, মার্টিনের মতো ক্রিকেটাররা দীর্ঘদিন শিল্ড ক্রিকেটে ৪০-৫০ গড়ে রান করেও দলে জায়গা পাননি। আর যখন একবার পেয়েছেন তখন অসাধারণ খেলেছেন। কারণ তারা প্রস্তুত ছিলেন।’