দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব ক্রিকেটে ছড়ি ঘুরানো অস্ট্রেলিয়ার শক্তি এখন আর আগের মতো অতটা প্রবল নয়। তার পরেও যে কোনো ফরম্যাটেই হোক, তাদেরকে পর পর তিন ম্যাচে হারানোটা ছিল স্বপ্নের মতো।
আবার বাংলাদেশের দলে নেই প্রধান তিন খেলোয়াড় তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম আর লিটন দাস। অজিরাও এসেছে খর্বশক্তিতে, কিন্তু তাদের চোখে বাংলাদেশ নিতান্তই পুঁচকে। কিন্তু এই দলের বিরুদ্ধে পর পর দিন ম্যাচে ধপাস তিন দশক টেস্টে রাজত্ব করা আর ওয়ানডে আর টি টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সে দেশবাসীকে করোনার কঠিন সময়ে ব্যাপক আনন্দ দিয়েছে। উল্লোসে মেতেছে তারা প্রতিটি ম্যাচের পরেই।
ভীষণ পরিশ্রম করা টাইগাররা রাষ্ট্রীয় পরিচালনার পরিশ্রমের পাশাপাশি দায়িত্ব বাড়িয়ে দিলেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর। প্রতিটি ম্যাচের পরে অভিনন্দন বার্তা পাঠাতে হয় তাদেরকে। আর সিরিজ জয়ের পর তো কথাই নেই।
ম্যাচ জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরই আসতে থাকে সরকার ও রাষ্ট্রের কর্তা ব্যক্তিদের অভিনন্দন বার্তা।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টানা তিনটি ম্যাচে জয়ের মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতায় বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের সকল সদস্য ও ম্যানেজমেন্ট সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।’
টাইগারদের জয়ের ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, ‘দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-২০ সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচ ও ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
অভিনন্দন জানিয়েছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন ছিলেন মাঠেই। কাছ থেকে দেখেছেন তার বাহিনীর অজি জয়ের দিনটি।
কোনো না কোনো ফরম্যাটে সব দলের বিরুদ্ধেই সিরিজ জেতা হয়ে গেছে বাংলাদেশের। এখন কেবল বাকি ইংল্যান্ড। এই বিষয়টি তুলে ধরে আগামীতে ইংলিশদের হারানোর স্বপ্নের কথাও বলেছেন তিনি।
সুযোগটা একটা আসতে পারত এ বছরই। আগামী অক্টোবরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে আর তিন ম্যাচের টি টোয়েন্টি খেলতে আসার কথা ছিল তাদের। কিন্তু করোনার জন্য সফর বাতিল করেছে তারা।