বৃষ্টিভেজা শের-ই-বাংলার পিচ বলছিল ১২৭ টপকানোটা খুব একটা সহজ হবে না অস্ট্রেলিয়ার জন্য। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান বেন ম্যাকডারমট-মিচেল মার্শরা অসম্ভবকে সম্ভব করার খুব কাছাকাছি চলেও গিয়েছিলেন।
শেষ রক্ষা আর হয়নি। সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১০ রানে হেরে ম্যাচ হারার পাশাপাশি সিরিজও বাংলাদেশের নামে লিখে আসতে হয় সফরকারী দলকে।
বাংলাদেশের এই জয়ে পর্দার পেছনে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছেন একজন। খেলায় পারফরম্যান্সের পাশাপাশি তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল সতীর্থদের দিক নির্দেশনা দেয়ায়। তিনি দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
ম্যাচ শেষে অকপটেই সাকিবের এই ভূমিকার কথা জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। জানালেন কিভাবে সাকিব সক্রিয় ছিলেন পুরো খেলা জুড়ে।
রিয়াদ বলেন, ‘যখন মাঠে প্রবেশ করছিলাম তখন চাচ্ছিলাম সাকিব দলের সঙ্গে কথা বলুক। সে তাদের বলেছে যে যাই হোক না কেন আমাদের দ্রুত উইকেট তুলে নিতে হবে ও তাদের চাপে রাখতে হবে।‘
সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে আগ ব্যাট করে অজিদের সামনে ১২৮ রানের লক্ষ্য দেয় স্বাগতিক দল। সেই রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটের খরচায় ১১৭ রান তুলতে সক্ষম হয় সফরকারীরা।
চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ডিফেন্ড করতে নেমে বল হাতে দারুণ ছিলেন সাকিব। তার বলেই ভাঙে বাংলাদেশের জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠা বেন ম্যাকডারমট ও মিচেল মার্শের জুটি।
৩৫ রান করা ম্যাকডারমটকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব। পুরো ম্যাচে ৪ ওভার ২২ রান দিয়ে এক উইকেট নেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
তবে পুরো ম্যাচে শুধু নিজের বোলিংয়ের প্রতিই নয় সতীর্থদের দিকেও তীক্ষ্ণ নজর ছিল সাবেক অধিনায়কের। প্রায় সব বোলারের সঙ্গেই তাদের বোলিং মার্কে যেয়ে কথা বলেছেন ও নিজের পরামর্শ দিয়েছেন।
আর সেটা যে কাজে লেগেছে তা প্রমানিত ম্যাচে ফলে ও ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর কথায়।