সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে অজিদের ১২৮ রানের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ।
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে হোঁচট খেলেও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অর্ধশতকে ৯ উইকেটে ১২৭ রানের সংগ্রহ পায় টাইগাররা। এতে ২৬ রানের ইনিংস খেলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সাকিব আল হাসান।
উইকেটের অবস্থা বলছে, এই স্কোর টপকানো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে হারা অস্ট্রেলিয়ার জন্য।
দলীয় তিন রানেই পরপর সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও সৌম্য সরকার।
এমন বিপর্যয়ে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন সাকিব আল হাসান এবং অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। মন্থর গতিতে হলেও সচল রাখেন রানের চাকা।
কিছুক্ষণ রয়ে সয়ে খেলার পর মারমুখী হন সাকিব। বাড়াতে থাকেন রানের গতি। তাকে বেশি দূর এগুতে দেননি অজি স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পা। তার বলে অ্যাস্টন এইগারের তালুবন্দি হয়ে ১৭ বলে ২৬ করে ফেরেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার।
আগের ম্যাচে জয়ের নায়ক আফিফ হোসেন এই ম্যাচে দূর এগুতে পারেননি। ১৩ বলে ১৯ করে অ্যালেক্স ক্যারির ডিরেক্ট হিটে রান আউট হন তিনি। তাতে ৭৬ রান তুলতে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
তিন রান করে হেইজলউডের স্লো বাউন্সারে বড় শট খেলতে গিয়ে বেন ম্যাকডরমটের হাতে ক্যাচ তুলে দেন শামীম হোসেন। সেই রেশ না কাটতেই মাহমুদুল্লাহর ভুলে রান আউন হন নুরুল হাসান সোহান।
উইকেট কামড়ে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে পঞ্চম অর্ধশতক।
৫৩ বলে চার বাউন্ডারিতে ৫২ রান করা মাহমুদুল্লাহ শিকার হন অস্ট্রেলিয়ার অভিষিক্ত নেইথান এলিসের। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে বোল্ড হন তিনি। ততক্ষণে লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
এলিসের অসাধারণ বোলিংয়ে শেষ ওভারে তেমন কিছু করা যায়নি। মাহমুদুল্লাহকে আউট করার পর পরের দুই বলে মুস্তাফিজুর রহমান ও মাহেদী হাসানের উইকেট তুলে নিয়ে অভিষেক টি-টোয়েন্টিতেই হ্যাটট্রিকের দেখা পান ডানহাতি পেইসার এলিস।