ইংল্যান্ড-ভারতের মধ্যেকার প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন পুরো এক সেশন বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। চা-বিরতির পর বৃষ্টির কারণে মাঠে নামতে পারেনি দুই দল। খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ভারতের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১২৫ রান। ৫৩ রানে পিছিয়ে সফরকারী দল।নটিংহ্যামে ইংল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে ১৮৩ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর, বিনা উইকেটে ২১ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করে ভারত।দ্বিতীয় দিনের শুরুটাও ভালো করেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুল আরও ৭৬ রান যোগ করেন দুইজন। দলীয় ৯৭ রানে বিদায় নেন রোহিত।৩৬ রান করে ওলি রবিনসনের বলে আউট হন তিনি। তার বিদায়েই ছোটখাট ধসের শিকার হয় ভারত।পরের ১৫ রানে হারায় ৪ উইকেট। ৪১ তম ওভারে সফরকারীদের বড় ধাক্কা দেন জেমস অ্যান্ডারসন।ওভারের দ্বিতীয় বলে ৪ রান করে জশ বাটলারের হাতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন চেতেশ্বর পুজারা।পরের বলে একই ভাবে আউট হন ভিরাট কোহলি। ভারতীয় অধিনায়ককে টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম গোল্ডেন ডাক উপহার দেন অ্যান্ডারসন।অধিনায়ক হিসেবে এটি কোহলির তৃতীয়। এতে করে সবচেয়ে বেশি গোল্ডেন ডাক বা প্রথম বলে শূন্য রানে আউট হওয়া ভারতীয় অধিনায়ক বনে গেলেন তিনি। কোহলির পর ২টি করে গোল্ডেন ডাক পেয়েছেন কপিল দেব ও সৌরভ গাঙ্গুলি।ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ডও এখন কোহলির। অধিনায়ক হিসেবে ৯টি ডাক আছে কোহলি। তার আগের রেকর্ডটি ছিল মহেন্দ্র ধোনির। ৮ বার শূন্য রানে আউট হন অধিনায়ক ধোনি।আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মোট ২৯ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন কোহলি। টেস্টে ১৩ বার, ওয়ানডেতে ১৩ ও টি-টোয়েন্টিতে ৩ বার শূন্য রানে ফিরেছেন ভারতের সেরা ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে ৫ বার প্রথম বলে। এই পাঁচ গোল্ডেন ডাকের ৩টিই এসেছে টেস্টে।সেঞ্চুরি মেশিন হিসেবে খ্যাত কোহলি নিজের সবশেষ ৪৭ আন্তর্জাতিক ইনিংসে কোনো শতরানের দেখা পাননি কোহলি। তার ক্যারিয়ারের ৭০টি সেঞ্চুরির সবশেষটি আসে ২০১৯ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে।তারপর থেকে ১৫ টেস্ট ইনিংসে ৩৪৫ রান করেছেন কোহলি। গড় ২৩.০০। যেখানে তার ক্যারিয়ার গড় ৫২.০৪।কোহলির বিদায়েও থামেনি ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের আউট হওয়ার মিছিল। দুই ওভার পর ৫ রান করে রানআউট হন আজিঙ্কা রাহানে।১১২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ভারতের সামনে সম্ভাবনা ছিল ইনিংস বিপর্যয়ের। কিন্তু তেমনটা হয়নি। কেএল রাহুল এক প্রান্ত আগলে রাখেন। তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি।বৃষ্টির বাধায় আগেই চা-বিরতি ঘোষণা করেন দুই আম্পায়ার। এরপর আর খেলা শুরু হয়নি। রাহুল ৫৭ ও রিশাভ পান্ট ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।