ব্যবধান মাত্র ২৪ ঘণ্টার। এই ২৪ ঘণ্টাতেই অস্ট্রেলিয়াকে আন্ডারডগ বানিয়ে দিল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে যাদের বিপক্ষে কখনও জয় তো দূরের কথা, প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়ে তুলতে পারেনি টাইগাররা, সেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরপর দুই জয়।
৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এবারে মিশন সিরিজ জয়ের। মাত্র একটি কাঙ্ক্ষিত জয় পেলেই মিলবে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যেকোনো ফরম্যাটে সিরিজ জয়ের স্বাদ।
সিরিজ জয়ের চিন্তা মাথায় রেখেই সন্ধ্যায় মাঠে নামতে যাচ্ছেন সাকিব-আফিফরা। দুই ম্যাচ হাতে থাকতেই সিরিজ নিজেদের করে নিতে বদ্ধপরিকর স্বাগতিক দল।
প্রতিপক্ষের শিবিরে নেই ছয়জন তারকা খেলোয়াড়। যারা আছেন তাদের বেশিরভাগই একেবারেই অনভিজ্ঞ বাংলাদেশের উইকেটের আচরণ সম্পর্কে। আর সেই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়েই ওয়েড-ফিলিপেদের চেপে ধরেছে বাংলাদেশ।
সেই সঙ্গে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তরুণ ক্রিকেটাররা। সিনিয়র-জুনিয়েদের মিশেলে দুর্দান্ত এক টিম কম্বিনেশন এখন স্বাগতিকদের। যার কারণে যে কোনো টাইগার সমর্থক আশায় বুক বাঁধতে পারেন সিরিজ জয়ের।
পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যায় নিজেদের খেলা সবশেষ তিন টি-টোয়েন্টির সবগুলোতেই জিতেছে বাংলাদেশ। আর নিজেদের শেষ তিন টি-টোয়েন্টির একটিতেও জয়ের মুখ দেখেনি অস্ট্রেলিয়া।
সব দিক বিবেচনাতেই জয়ের দিকে একধাপ এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়াও যে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকবে না সেটি নিশ্চিত। ক্রিকেট জগতে এক সময়ের অতুলনীয় দলটি যে কোনো মূল্যেই চাইবে সিরিজে ফিরতে।
সরাসরি না বললও অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ম্যাথিউ ওয়েড সতীর্থদের ইঙ্গিত দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন জয়ের জন্য কি করতে হবে।দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় তিনি বলেন, ‘আজকে অনেক ভালো অবস্থানে ছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত শেষ চার ওভারে আমরা ধুঁকেছি। আমরা সহজেই ১৩০-১৪০ রান করার অবস্থানে ছিলাম। তাদের পেইসাররা বেশ ভালো করেছে।’
একই সুরে সুর বাঁধেন অজি অলরাউন্ডার মোয়েজেস এনরিকেসও। তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার মতো পরিচিত কন্ডিশন নয় এটা। তবে যদি মানিয়ে নিতে পারি, তাহলে আমার বিশ্বাস, আমরা এখনও সিরিজ জিততে পারি।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের ঘুরে দাঁড়ানর পথ বের করতে হবে। এখানে মানিয়ে নিতে সময় লাগে। কাউকে শেষ পর্যন্ত থাকতেও হয়, আবার ১৪০-১৫০ করার জন্য ঝুঁকিও নিতে হয়।’
তৃতীয় ও সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নামার সম্ভাবনা প্রবল বাংলাদেশের।
অপরদিকে অজি শিবিরে আসতে পারে একটি পরিবর্তন। অ্যালেক্স ক্যারিয়ে বসিয়ে তার জায়গায় খেলানো হতে পারে বেন ম্যাকডারমটকে।
বাংলাদেশ একাদশ: মোহাম্মদ নাঈম, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মাহেদী হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, শামিম হোসেন, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ: অ্যালেক্স ক্যারি/বেন ম্যাকডারমট, জশ ফিলিপে, মিচেল মার্শ, মোয়েজেস এনরিকেস, ম্যাথিউ ওয়েড, অ্যাস্টন এইগার, অ্যাস্টন টার্নার, মিচেল স্টার্ক, অ্যান্ড্রু টাই, অ্যাডাম জ্যাম্পা, জশ হেইজলউড।