মুস্তাফিজের পেইস বিষে সিরিজের শুরু থেকেই নাস্তানাবুদ অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা। দুই ম্যাচ মিলিয়ে ফিজের ঝুলিতে ৫ উইকেট।
কাটার তো আছেই, সেই সঙ্গে স্লোয়ার, বাউন্সারে দ্য ফিজ রীতিমতো অসহায় করে রেখেছেন অজি ব্যাটসম্যানদের। তার বল যেন বুঝে উঠতে পারছেন না ওয়েড-ক্যারিরা।
যার প্রমাণ মেলে সিরিজের প্রথম ম্যাচে। সেই ম্যাচে কাটার মাস্টারের করা ২৪ বলের ভেতর ১২টি বলে রানের দেখা পাননি সফরকারী ব্যাটসম্যানরা।
একটি মাত্র বাউন্ডারির বিনিময়ে ১৬ রানের খরচায় শিকার করেন দুই উইকেট। সেই ম্যাচে তিনি তুলে নেন অ্যাস্টন টার্নার ও মিচেল স্টার্কের উইকেট।
দ্বিতীয় ম্যাচে বোলিং তেজ আরও বাড়িয়ে দেয়ার প্রত্যয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। কিছুটা খরুচে হলেও ২৩ রানের খরচায় ফেরান জশ ফিলিপে, ম্যাথিউ ওয়েড এবং অ্যাস্টন এইগারকে।
মুস্তাফিজের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স প্রশংসা কুড়াচ্ছে প্রতিপক্ষ শিবিরেও। সফরকারী বোলার এইগার ফিজে এতোটাই মজেছেন যে তার বলগুলোকে ‘সুপার ভ্যারিয়েবল’ এর তকমা দিয়েছেন তিনি।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এইগার বলেন, ‘তার (মুস্তাফিজের) বলগুলো খুব ধীর গতির নয়। তাই যে কোন সময় যে কোন কিছু হতে পারে। উইকেটে পিচ করার পর বলগুলো হয় স্লো হয়ে যায়, নয়তো অনেক টার্ন করতে পারে। আবার কখনো নাও হতে পারে। সেগুলো সত্যিই সুপার ভ্যারিয়েবল।’
এই সিরিজে নাসুম-মাহেদীর স্পিনে ভুগেছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের সঙ্গে বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসান তো আছেনই। বাড়তি হিসেবে যোগ হয়েছে মুস্তাফিজের সেরা ফর্মে ফেরা। সবমিলিয়ে নাভিশ্বাস অবস্থা অজিদের।
শেষ ম্যাচে মুস্তাফিজকে নিয়ে সতর্ক থাকবে অস্ট্রেলিয়া এমনটা জানিয়ে এইগার যোগ করেন, ‘সে বল হাতে যতটা সম্ভব সুযোগ তৈরি করতে পারে। তার অধিকাংশ বলই স্লোয়ার। তাকে মোকাবেলা করার পথ আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।’