অবশেষে দেখ মিলল অপূর্ব মুহূর্তের। পূরণ হলো টাইগারদের অধরা স্বপ্ন; অস্ট্রেলিয়া বধ। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ পেলো অজিদের হারানোর স্বাদ। আর এই জয়ের নায়ক হয়ে ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকলেন স্পিনার নাসুম আহমেদ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কয়েক দিন আগেই শেষ হওয়া সিরিজে বল হাতে ভালো করতে পারেননি এই স্পিনার। শেষ টি-টোয়েন্টিতে প্রচন্ড মার খেয়েছিলেন তিনি। ৩ ওভারে ৪টি ছক্কা সহ হজম করেন ৩৭ রান। এর মধ্যে তাকে টানা ৩টি ছক্কা হাঁকান রেগিস চাকাবভা।
সেই মারের ঝালটা যেন ওঠালেন অজিদের ওপর দিয়ে। বল হাতে শুরু থেকেই সফরকারীদের চেপে ধরেন নাসুম। নিজের প্রথম ওভারে বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আগেই সাজঘরে ফেরান অপেনার জশ ফিলিপেকে।
এরপর একে একে মাঠ ছাড়া করেন ম্যাথিউ ওয়েড, অ্যাস্টন এইগারদের। নিজের শেষ ওভারে অজিদের জয়ের স্বপ্ন জিইয়ে রাখা মিচেল মার্শকে ফিরিয়ে ইতিহাস রচনার দিকে এক পা এগিয়ে দেন বাংলাদেশকে।
অজিদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে নাসুম করেন ৪ ওভার। ১৯ রানের খরচায় ঝুলিতে পুরেছেন ৪টি উইকেট। আর এই ৪ ওভারের ভেতর ডট বল ছিল ১২টি। তার ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র একটি বাউন্ডারি হাঁকাতে সক্ষম হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
শুরুতে পরিকল্পনা তেমনটাই ছিল জানালেন নাসুম। অস্ট্রেলিয়াকে বাউন্ডারি বের করতে দিতে চায়নি বাংলাদেশ। বাউন্ডারির অভাবে পুরো ম্যাচে আস্কিং রেটের সঙ্গে লড়তে হয়েছে সফরকারী দলকে।
নাসুম বলেন, ‘লক্ষ্য ও চেষ্টা ছিল রান কম দিয়ে বোলিং করা। বেশি ডট বল করা। সেটা চেষ্টা করতে যেয়েই উইকেট পেয়েছি।’
ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচ অফ দ্যা ম্যাচ পাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত নাসুম। তবে নিজের সাফল্যে দুই সিনিয়র টাইগারের অবদানের কথা ভোলেননি এই বাঁ-হাতি।
নাসুম বলেন, ‘সাকিব ভাই ও রিয়াদ ভাই মিলে আমাকে অনেক সমর্থন করে গেছেন। যখনই বল করতে গিয়েছি তখনই আমার সঙ্গে দুই জনই কথা বলেছেন। তাদের কথা মতোই চেষ্টা করেছি।’
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ২৬ বছর বয়সী এই স্পিনার খেলেছেন ৫টি ম্যাচ। এই ৫ ম্যাচে শিকার করেছেন ৬ উইকেট। যার ভেতর চারটিই এসেছে এই ম্যাচ থেকে।