নাসুম আহমেদের স্পিন জাদুতে একের পর এক উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া শিবিরে এবার আঘাত হানতে শুরু করেছেন বাংলাদেশের পেইসাররা। তাতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয় বাংলাদেশের সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া শিবিরে অষ্টম আঘাত হানেন শরীফুল ইসলাম। তিন বলের ব্যবধানে অ্যান্ড্রু টাই ও অ্যাডাম জাম্পাকে উইকেট ছাড়া করেন তিনি। তার আগে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট হন অ্যাস্টন টার্নার।
এর আগে চারটি ইউকেট নিয়ে নিজের স্পেল শেষ করেন নাসুম।
একের পর এক উইকেট পতনের মধ্যেও উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রেখে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের স্বপ্ন ধরে রাখা মিচেল মার্শকে দলীয় ৮৪ রানে ফেরান তিনি।
নাসুমের চার উইকেট শিকারে জয়ের স্বপ্ন আরও উজ্জ্বল হয় বাংলাদেশের।
তার স্পিনে অনেকটাই পথহারা অস্ট্রেলিয়া। ১৯ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১০৪ রান।
মার্শকে ফেরানোর আগে অধিনায়ক ম্যাথিউ ওয়েডকে ফেরান ২৬ বছর বয়সী নাসুম।
এর আগে ধুঁকতে থাকা অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসটি মেরামতের দায়িত্ব নিয়েছিলেন অধিনায়ক ওয়েড। রয়েসয়ে ব্যাট চালাচ্ছিলেন। তাকেও বেশি দূর এগুতে দেননি নাসুম।
তার ওয়াইড বল সুইপ করতে গিয়ে ১৩ রানে মুস্তাফিজের হাতে বন্দি হন ওয়েড। দলীয় ৪৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
ছোটখাটো লক্ষ্য দিলেও অথিতিদের শুরুতেই চেপে ধরেছে বাংলাদেশ।
১৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। ১০ ওভার শেষে অজিদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৪ উইকেটের খরচায় ৫১ রান।
ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার অ্যালেক্স ক্যারিকে সাজঘরে ফিরিয়ে শুভ সূচনা করেন মাহেদী হাসান।
মাহেদীর স্পিনে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন ক্যারি।
দ্বিতীয় ওভারেই আরেক ওপেনার জশ ফিলিপকে ফিরিয়ে দেন নাসুম আহমেদ। আর তাতেই ১১ রান তুলতে দুই উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা।
তৃতীয় ওভারে আঘাত হানেন সাকিব। মোয়েজেস এনরিকেসকে ১ রানেই মাঠছাড়া করেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।
এর আগে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে ১৩২ রানের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের খরচায় ১৩১ রানে থামে টাইগারদের রানের চাকা।
অজিদের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা সুবিধার হয়নি বাংলাদেশের। অজি পেইসারদের বোলিং তোপ নাঈম শেখ সামাল দিলেও বল যেন বুঝেই উঠতে পারছিলেন না সৌম্য সরকার।
মাত্র ৯ বল খেলে দুই রান করে হ্যাজেলউডের লেগ স্ট্যাম্পের অনেক বাহিরের বল এক প্রকারে ইচ্ছে করেই স্ট্যাম্পে ঠেলে দিয়ে ম্যাচের চতুর্থ ওভারেই মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি এই ওপেনার।
সৌম্য বিদায় নিলেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন নাঈম। কিন্তু অ্যাডাম জাম্পার বলে ধরাশায়ী হয়ে ২৯ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিনিও।
এরপর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু হ্যাজেলউডের বলে এনরিকেসের তালুবন্দি হয়ে ২০ রানে সাজঘরে ফেরেন দলপতি রিয়াদ।
আশা জাগিয়ে একবুক হতাশা নিয়ে ৩৬ রান করে মাঠ ছাড়েন সাকিবও। উইকেটের অপরপ্রান্তে আসা যাওয়ার মিছিল চলতে থাকলেও অবিচল থাকেন আফিফ। শেষ পর্যন্ত ১৭ বলে ২৩ রান করে ফেরেন তিনি। সেই সঙ্গে দল পায় ১৩১ রানের পুঁজি।