ছোটখাটো লক্ষ্য দিলেও অস্ট্রেলিয়াকে শুরুতেই চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। দলীয় ১১ রানেই অতিথি দলের তিন উইকেট তুলে নিয়েছে টাইগাররা।
ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার অ্যালেক্স ক্যারিকে সাজঘরে ফিরিয়ে শুভ সূচনা এনে দেন মেহেদী হাসান।
মেহেদীর ঘূর্ণীতে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন অ্যালেক্স ক্যারি।
দ্বিতীয় ওভারে জশ ফিলিপেকে ফেরান নাসুম আহমেদ। তার বলে ৯ রান করে আউট হন ফিলিপে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে স্টাম্পড হওয়া প্রথম অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানে পরিণত হন তিনি।
১০ রানে দুই ওপেনারকে হারানো অজি দলের ভিত আরও নড়বড়ে করে দেন সাকিব আল হাসান। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই মোয়েজেস এনরিকসকে বোল্ড করেন তিনি।
এর আগে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে ১৩২ রানের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের খরচায় ১৩১ রানে থামে টাইগারদের রানের চাকা।
অজিদের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা সুবিধার হয়নি বাংলাদেশের। অজি পেইসারদের বোলিং তোপ নাঈম শেখ সামাল দিলেও বল যেন বুঝেই উঠতে পারছিলেন না সৌম্য সরকার।
মাত্র ৯ বল খেলে দুই রান করে হ্যাজেলউডের লেগ স্ট্যাম্পের অনেক বাহিরের বল এক প্রকারে ইচ্ছে করেই স্ট্যাম্পে ঠেলে দিয়ে ম্যাচের চতুর্থ ওভারেই মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি এই ওপেনার।
সৌম্য বিদায় নিলেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন নাঈম। কিন্তু অ্যাডাম জাম্পার বলে ধরাশায়ী হয়ে ২৯ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিনিও।
এরপর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু হ্যাজেলউডের বলে এনরিকেসের তালুবন্দি হয়ে ২০ রানে সাজঘরে ফেরেন দলপতি রিয়াদ।
আশা জাগিয়ে একবুক হতাশা নিয়ে ৩৬ রান করে মাঠ ছাড়েন সাকিবও। উইকেটের অপরপ্রান্তে আসা যাওয়ার মিছিল চলতে থাকলেও অবিচল থাকেন আফিফ। শেষ পর্যন্ত ১৭ বলে ২৩ রান করে ফেরেন তিনি। সেই সঙ্গে দল পায় ১৩১ রানের পুঁজি।