সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। এই জয়ে ৪ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে সফরকারী দল। পাকিস্তানের দেয়া ১৫৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৫০ রানে থেমে যায় স্বাগতিকদের রানের চাকা।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠায় স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাট করতে নেমে শারজিল খান ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দেয় সফরকারীরা।
দলীয় ৪৬ রানে শারজিল খানের বিদায় হলেও বাবর আজমকে সঙ্গে নিয়ে রানের গতি ধরে রাখেন রিজওয়ান। ৩৬ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলার পাশাপাশি নিজের নামটা লিখিয়ে ফেলেন চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে। ১৫ ম্যাচে ১৪ ইনিংস ব্যাটিং করা এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ৯৪ গড়ে চলতি বছর সংগ্রহ করেছেন ৭৫২ রান। যা এক মৌসুমে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড। আগের রেকর্ডটি ছিল আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিংয়ের ৭৪৮ রান
বাবর আজমের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ৪৬ রানে থামে রিজওয়ানের ব্যাট। ২০তম হাফ সেঞ্চুরি তোলার পরপরই বিদায় নেন বাবর। এরপর ক্যারিবীয় বোলারদের বোলিং তোপের সামনে দাঁড়াতে পারেননি আর কেউই। যার ফলে ৮ উইকেটের খরচায় ১৫৭ রান তোলে সফরকারীরা।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন বাবর আজম। আর ক্যারিবীয়দের পক্ষে ২৬ রানের খরচায় ৪ উইকেট পান জেসন হোল্ডার।জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় স্বাগতিক দল। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে রানের খাতা খোলার আগে মোহাম্মদ হাফিজ ফেরান উইন্ডিজ ওপেনার আন্ড্রে ফ্লেচারকে।দলীয় ৩১ রানে মাঠ ছাড়েন ক্রিস গেইল। দলের বিপর্যয়ে হাল ধরতে এগিয়ে আসেন এভন লুইস। সঙ্গে ছিলেন শিমরন হেটমায়ার। লুইসের সঙ্গ বেশিক্ষণ দিতে পারেননি হেটমায়ার। ১৮ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি।ইনিংসের দায়িত্ব একাই নিজের কাঁধে নেন লুইস। অন্যপ্রান্তে তাকে সহায়তা করেন নিকোলাস পুরান।
তাদের জুটিতে বাধ সাধেন হাসান আলি। ইনিংসের ১৪ তম ওভারের শেষ বলে হাসান আলির থ্রো গিয়ে আঘাত করে লুইসের পায়ে। এরপর আর মাঠে থাকা হয়নি তাঁর। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে তাকে ফিরতে ড্রেসিং রুমে।উইকেটে থেকে লড়াই চালিয়ে যান পুরান। পোলার্ডকে নিয়ে সচল রাখেন ক্যারিবীয়দের।তবে ৬১ রানে অপরাজিত থেকে শেষ রক্ষা করতে পারেননি। শেষ ওভারে তাদের দরকার ছিল ২০ রানের। কিন্তু পুরান ও পোলার্ড ১২ রানের বেশি নিতে পারেননি।নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের খরচায় ১৫০ রানে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস। সেই সঙ্গে পাকিস্তান পায় ৭ রানের রোমাঞ্চকর এক জয়।সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে একই ভেন্যুতে রোববার রাত ৯ টায় মুখোমুখি হবে দুই দল।