ক্রীড়া বিশ্বে চলছে মানসিক চাপজনিত অবসাদের ধারাবাহিকতা। অলিম্পিকসে যুক্তরাষ্ট্রের জিমন্যাস্ট সিমোন বাইলস মানসিক অবসাদ সামলাতে এই সপ্তাহে ঘোষণা দেন টিম ইভেন্টে জাতীয় দলের হয়ে ফাইনাল না খেলার।তার চারদিন পরই পৃথিবীর আরেক প্রান্তের অন্য একটি খেলার এক সুপারস্টার নিজেকে গুটিয়ে নিলেন মাঠ থেকে।
ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ছুটিতে যাচ্ছেন। ক্রিকেট সংক্রান্ত কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনি আপাতত জড়িত থাকবেন না।
ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) নিশ্চিত করেছে স্টোকসের নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়টি। ভারতের বিপক্ষে আসন্ন ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে থাকছেন না তিনি।
ইসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘মানসিক স্বাস্থ্য ও নিজের ডান হাতের ইনজুরি চিকিৎসার কারণে জাতীয় দল ও সব ফরম্যাটের ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বিশ্রামে গেছেন স্টোকস। ইসিবি তাকে এই সময়ে সর্বোচ্চ সহায়তা করতে প্রস্তুত’।
চলতি মাসে শেষ হওয়া পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড দলের অধিনায়কত্ব করেন স্টোকস।
৪ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের ইংল্যান্ড দলে স্টোকসের জায়গায় ডাকা হয়েছে আরেক অলরাউন্ডার ক্রেইগ ওভারটনকে।
নিজের সময়ের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে খ্যাত ৩০ বছর বয়সী স্টোকস ইংল্যান্ডের হয়ে ৭১টি টেস্ট ও ১০১টি ওয়ানডে খেলেছেন।
নিউজিল্যান্ডে জন্ম নেওয়া স্টোকস ২০১১ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেকের পর টেস্টে ১০টি সেঞ্চুরিসহ ৩৭.০৪ গড়ে ৪,৬৩১ রান করেন। আর ওয়ানডেতে রান ৩ সেঞ্চুরি ও ৪০.৪১ গড়সহ ২,৮৭১।
বল হাতেও সমান সফল স্টোকস। টেস্টে তার উইকেট সংখ্যা ১৬৩টি আর ওয়ানডেতে ৭৪টি। ইংল্যান্ডের নিজ মাটিতে ২০১৯ বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন স্টোকস।
এর আগেও দুই ব্যাটসম্যান মারকাস ট্রেসকোথিক ও জনাথন ট্রট মানসিক অবসাদ ও ক্লান্তির জন্য ইংল্যান্ড জাতীয় দল থেকে বিশ্রাম নিয়েছেন। ওই দুইজন ঘরোয়া ক্রিকেট খেললেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর ফিরতে পারেননি।
স্টোকসের বেলাতেও তেমন হয় নাকি তিনি বিশ্রামের পর আরও তরতাজা হয়ে ফেরেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, সেটা দেখার অপেক্ষায় এখন ভক্তরা।