সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ভারতকে দাঁড়াতেই দেয়নি শ্রীলঙ্কা। সফরকারীদের ৩ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে স্বাগতিক দল।ভারত আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে মাত্র ৮১ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ৩৩ বল ও ৭ উইকেট অক্ষত রেখে জয় নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা।
ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতে টি-টোয়েন্টি ভালো মোমেন্টাম নিয়ে এসেছিল লঙ্কানরা। সেটা ধরে রেখে ভারতকে নাস্তানাবুদ করে দাসুন শানাকার দল।
টানা ৫ টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর সিরিজ জিতল শ্রীলঙ্কা। এর আগে ২০১৯ সালে সবশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল তারা।
আর ভারতের বিপক্ষে যেকোনো ফরম্যাটে ১৩ বছর পর দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতল শ্রীলঙ্কা।
কলম্বোর রানাসিংহে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। শ্রীলঙ্কার স্পিনের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে ভারতের আইপিএল তারকা সমৃদ্ধ ব্যাটিং লাইন-আপ।
বিশেষ করে স্বাগতিক স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলের কোনো জবাব ছিল না ধাওয়ান-স্যামসনদের কাছে।
ভারতের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান প্রথম টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে গোল্ডেন ডাকের শিকার হন। দুস্মন্ত চামিরার বলে নিজের প্রথম বলেই ফেরেন তিনি।
এরপর আর ধস থামাতে পারেনি ভারত। ১৬.৪ ওভারে ৬৩ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে নিজেদের সর্বনিম্ন টি-টোয়েন্টি স্কোরের রেকর্ড ভাঙ্গার সম্ভাবনা দেখা দেয় ভারতের সামনে।
২০০৮ সালে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭৪ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। তবে ৭ নম্বরে নামা কুলদিপ ইয়াদভের ব্যাটে সেই লজ্জা থেকে রক্ষা পায় সফরকারী দল।
শেষ পর্যন্ত আর কোনো উইকেট হারায়নি তারা। ইয়াদভ দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৮১/৮।
পুরো ২০ ওভার খেলা দলগুলোর মধ্যে এটা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ৭৯ রান করেছিল।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে অসাধারণ বোলিং করেন হাসারাঙ্গা। ৪ ওভারে ৯ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন এই স্পিনার। অধিনায়ক শানাকা নেন ২ উইকেট।
ছোট লক্ষ্য ডিফেন্ড করতে নেমে ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন রাহুল চাহার। লঙ্কার ৩টি উইকেটই শিকার করেন এই লেগস্পিনার।
তবে ৮১ রান তাড়া করতে কখনই বিপর্যয়ে পড়েনি শ্রীলঙ্কা। ধনঞ্জয়া সিলভা ২৩ ও হাসারাঙ্গা ১৪ রানে অপরাজিত থেকে সহজ জয় পাইয়ে দেন দলকে।
ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হন হাসারাঙ্গা।
এবারের শ্রীলঙ্কা সফরে ভারত সেরা তারকাদের আনেনি। কোহলি-রোহিতদের ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য আগে ভাগে সেখানে পাঠানো হয়। ধাওয়ানের নেতৃত্বে তরুণ দল পাঠানো হয় শ্রীলঙ্কায়।
ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিলেও, টি-টোয়েন্টিতে ঠিকই হার মানতে হয় সফরকারী দলের।
অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কা দলেও অনুপস্থিত ছিলেন নিয়মিত ও সিনিয়র খেলোয়াড়রা। বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে ঝামেলা না মেটায় অনেকেই খেলেননি।
বায়ো বাবলে থাকতে রাজি হননি অনেকেই। ফলে শ্রীলঙ্কাও সুযোগ দেয় নিজের তরুণ ক্রিকেটারদের।