রানের পাহাড় টপকে জিম্বাবুয়ে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজও বগলদাবা করেছে বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে দলের ব্যাটিংয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
চার বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের এই জয়ে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের পর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে নিজেদের করে নিলো টাইগাররা।
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ অনায়াসে জিতলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোঁচট খেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। প্রথম ম্যাচে জিতে দ্বিতীয় ম্যাচে হারের স্বাদ পেতে হয়। শেষ ম্যাচটা তাই ছিল সিরিজ নির্ধারণী।
এমন ম্যাচে জিম্বাবুয়ের দেয়া ১৯৩ রানের টার্গেট টপকানো সহজ ছিল না বাংলাদেশের জন্য। তবে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছেড়ে মাহমুদুল্লাহ বাহিনী। মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট ইনিংসের পাশাপাশি সৌম্যর অনবদ্য ফিফটিতে জয়ের উল্লাস নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
ম্যাচ শেষে সিরিজ জয় নিয়ে কথা বলেন তামিম ইকবালের বদলে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পাওয়া মাহমুদুল্লাহ।
দলের সবাইকে ক্রেডিট দিয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ছেলেরা তাদের ক্যারেক্টার দেখিয়েছে। মিডল অর্ডারে সবাই কিছু কিছু অবদান রেখেছে। সৌম্য-সাকিব ভালো ব্যাট করেছে। শেষে শামীম গুরুত্বপূর্ণ খেলাটা খেলেছে। ম্যাচটা জিততে সবাই সহযোগিতা করেছে। ভালো একটা ব্যাটিংনির্ভর জয় এসেছে।’
এ ম্যাচে টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের টার্গেট টপকে জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ডট বল কম দেয়াতেই তা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন টাইগারদের অধিনায়ক।
তিনি বলেন, ‘যখন আপনি বড় কোনো রান তাড়া করতে যাবেন তখন উইকেটে দুই প্রান্ত বদল হওয়াটা খুব জরুরি। ডট বল কম দেয়াটা অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়। এটা করতে পেরেছি আশা করি।’
কীভাবে পাহাড়সম রানের চাপ সামলে জয়ের দেখা পেলেন, এমন প্রশ্নে জয়ের অন্যতম নায়ক সৌম্য সরকার বলেন, ‘রানটা বড় ছিল...আরেকটা প্লান ছিল পাওয়ার প্লেতে বড় একটা ওভার পাবো। শেষে রিয়াদ ভাইয়ের সঙ্গে যে পার্টনারশিপ গড়েছি সেখানেই এগিয়ে গিয়েছি।’
প্রতি ওভারে একটা করে চার বা ছক্কা মারার লক্ষ্য নিয়ে খেলার মানসিকতাই বাংলাদেশকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে বলে মনে করেন সৌম্য।
মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে ক্রিজে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল বলেও জানান সৌম্য। বলেন, ‘রিয়াদ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলছিলাম যে আমরা প্রত্যেক ওভারে একটা করে বাউন্ডারি মারব। আর সিঙ্গেলস। আর যদি এক্সট্রা বাউন্ডারি চলে আসে তাহলে তো আমরা হ্যাপিই।’