তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে ক্লিন সুইপের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। সফরকারী দলকে বৃষ্টি আইনে ৩ উইকেটে হারায় স্বাগতিক দল।হারের পরও প্রথম দুই ম্যাচ জেতায় ২-১ ব্যবধানে তিন ম্যাচ সিরিজ জিতে নিয়েছে ভারত।
বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ইনিংসের দৈর্ঘ্য কমে ৪৭ ওভারে নেমে আসে। ভারত আগে ব্যাট করে ২২৫ রানে অলআউট হয়। জবাবে ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে শ্রীলঙ্কার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৭ ওভারে ২২৭।
৪৮ বল অক্ষত রেখে টার্গেটে পৌছে যায় লঙ্কানরা। আভিস্কা ফার্নান্ডো ৭৬ রানের ইনিংস খেলে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হন।
কলম্বোর রানাসিংহে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ভারতকে ঝড়ো সূচনা এনে দেওয়ার পর আউট হন শিখর ধাওয়ান। তৃতীয় ওভারে ১১ রান করে আউট হন ভারতীয় অধিনায়ক।
এরপর ওপেনার পৃথভি শর সঙ্গে জুটি বাঁধেন অভিষেক হওয়া সাঞ্জু স্যামসন। ওয়ানডে ক্যাপ পাওয়া ৫ ভারতীয় ক্রিকেটারের একজন ছিলেন স্যামসন।
দ্বিতীয় উইকেটে শর সঙ্গে তার ৭৪ রানের জুটি ভারতকে বড় স্কোরের পথে রাখে। ১৬তম ওভারে ৪৯ রান করে আউট হন শ। তিন ওভার পর বিদায় নেন ৪৬ রান করা স্যামসন।
২৩ তম ওভারের পর বৃষ্টির বাধায় খেলা বন্ধ থাকে প্রায় ঘণ্টাখানেক। তখন ভারতের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১৪৭।
ম্যাচ পুনরায় শুরু হওয়ার পর ছোটখাট ধস নামে সফরকারীদের ব্যাটিং লাইনআপে। দুই স্পিনার আকিলা দনঞ্জয়া ও প্রাভিন জয়াউইক্রামা চেপে ধরে অনভিজ্ঞ ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের।
একমাত্র সুরিয়াকুমার ইয়াদভ লড়াই করেন। ৩৭ বলে ৪০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। মিডল ও লোয়ার্ড মিডল অর্ডারে আর কেউ হাল ধরতে না পারলে ৪৩.১ ওভারে গুটিয়ে যায় ভারতের ইনিংস।
৬৮ রানে শেষ ৭ উইকেট হারায় ভারত। দনঞ্জয়া ৪৪ রানে আর জয়াউইক্রামা ৫৯ রানে ৩টি করে উইকেট নেন।
ভারত ২২৫ করলেও ডি/এল মেথডে শ্রীলঙ্কার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২২৭ রানের। বৃষ্টি ভেজা কন্ডিশনে ধীরে সুস্থে শুরু করেন মিনোদ ভানুকা ও আভিস্কা ফার্নান্ডো।
ভানুকা ৭ রানে আউট হলে ফার্নান্ডোর সঙ্গে জুটি গড়েন ভানুকা রাজাপাকশা। এই জুটিতে জয়ের পথে থাকে শ্রীলঙ্কা দল।
দ্বিতীয় উইকেটে ১০৯ রান যোগ করার পর ৬৫ রান করা রাজাপাকশার বিদায়ে ভাঙ্গে জুটি।
এরপর চারিথ আসালাঙ্কার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে আরেকটু এগিয়ে নেন ফার্নান্ডোর। ২৮ বলে ২৪ রান করে আউট হন আসালাঙ্কা।
টার্গেটের কাছাকাছি পৌঁছে গেলেও নিয়মিত উইকেট হারাচ্ছিল লঙ্কানরা। ৩৭তম ওভারে যখন ফার্নান্ডো ৭৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তখনও জয় থেকে ১৩ রান দূরে স্বাগতিক দল।
শেষ পর্যন্ত রমেশ মেন্ডিসের ক্যামিওতে ৪৮ বল আগেই জয় নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা।
ফার্নান্ডো ম্যাচ সেরা হন আর সিরিজ সেরা হন পুরো সিরিজে ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে থাকা সুরিয়াকুমার ইয়াদভ। তিন ম্যাচে ৬২ গড়ে একটি ফিফটিসহ ১২৪ রান করেন।