জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি জিততে বাংলাদেশের চাই ১৫৩ রান। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভারে ১৫২ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।আক্রমণাত্মকভাবে শুরু করা জিম্বাবুয়ে প্রথম ১০ ওভারে স্কোরবোর্ডে তুলে ফেলে দুই উইকেটে ৯১ রান।পাওয়ার প্লেতে একটি উইকেট পান মুস্তাফিজুর রহমান। আর নবম ওভারের শুরুতে দুই নম্বর উইকেট তুলে নেন সাকিব আল হাসান।ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হন দুই জিম্বাবুইয়ান ওপেনার টাডিওয়ানাশে মারুমানি ও রেগিস চাকাবভা। দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে মারুমানি ৭ রান করে ফেরেন মুস্তাফিজের ডেলিভারিতে।অন্যপ্রান্তে আক্রমণ অব্যাহত রাখেন চাকাবভা। শরিফুল ইসলাম ও মাহেদি হাসানের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে দেন চাকাবভা ও তিনে নামা ওয়েসলি মাধেভেরে। শরিফুল এক ওভারে ১৫ আর মাহেদি এক ওভারে ১৮ রান দেন।শেষ পর্যন্ত নবম ওভারের প্রথম বলে মাধেভেরেকে আউট করে ৬৪ রানের জুটি ভাঙ্গেন সাকিব। ২৩ রান করা মাধেভেরে সাকিবের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।১০ ওভার শেষ হওয়ার পরই বাংলাদেশ জোড়া আঘাত করে স্বাগতিক দলকে। ১১ তম ওভারে রান আউট হন রেগিস চাকাবভা। আর পঞ্চম বলে আউট হন সিকান্দার রাজা।একাদশ ওভারে শরিফুল ফিরে আসেন। ওই ওভারের প্রথম বলে রানআউট হন ২২ বলে ৪৩ রান করা চাকাবভা। দুটি ছক্কা ও ৫টি চার হাঁকান এই ওপেনার।পঞ্চম বলে শরিফুলের ডেলিভারিতে শূন্য রানে ফেরেন স্বাগতিক অধিনায়ক রাজা। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা ৩৫ রান করা ডিওন মায়ার্সকে আউট করেন শরিফুল।এরপর আর ব্যাটিং ধস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিতে থাকেন বাংলাদেশি বোলাররা।তারিসাই মুসাকান্দাকে ৬ রানে আউট করেন সৌম্য সরকার। আর রায়ান বার্লকে ৪ রানে ফেরান সাইফউদ্দিন।শেষ দিকে লুক জঙ্গওয়ের ব্যাটে দেড় শ ছাড়ায় স্বাগতিক দলের স্কোর। ১৬ বলে ১৮ রান করে সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি।শেষ কাজটুকু সারেন মুস্তাফিজ। দারুণ ডেথ বোলিংয়ে বেধে রাখেন জিম্বাবুয়ের টেইল এন্ডারদের। ১৯তম ওভারে রিচার্ড এনগারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানির উইকেটও তুলে নেন।৩১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে টাইগারদের পক্ষে সফলতম বোলার ছিলেন দ্য ফিজ। সাইফউদ্দিন ও শরিফুল দুটি করে উইকেট নেন।