মাঝে শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডে অ্যাওয়ে সিরিজ খেলেননি। নিজ দেশে লঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে রান পাননি। জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ব্যাট হাসেনি সাকিব আল হাসানের।
দ্বিতীয় ম্যাচে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে ফর্মে ফেরেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। শেষ ম্যাচেও ব্যাট হাতে ছন্দে ছিলেন তিনি। ৩০ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ শেষে সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন সাকিব।
তিন ম্যাচে তার ব্যাট থেকে ৭২.৫০ গড়ে রান এসেছে ১৪৫। আর বল হাতে ৩.৯৫ ইকোনমি রেটে ৮ উইকেট নিয়েছেন যার গড় ১৪.৭৫।
ম্যান অফ দ্য সিরিজ হয়ে অনন্য এক রেকর্ডের অংশ হয়েছেন বাংলাদেশের এই সাবেক অধিনায়ক।
ক্যারিয়ারে এ নিয়ে মোট ১৫ বার সিরিজ সেরা হলেন সাকিব। যা ওয়ানডে ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ।
ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৯ বার সিরিজ সেরা হয়েছেন কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকার। দুইয়ে আছেন বর্তমান ভারতীয় অধিনায়ক ভিরাট কোহলি।
তিনি সিরিজ সেরা হয়েছেন ১৭ বার। তারপরই আছেন সাকিব। তালিকায় সাকিবের পরের নাম দুটি দুই গ্রেট জ্যাক ক্যালিস ও সনাথ জয়াসুরিয়ার।
এমন অনন্য রেকর্ডের অংশ হয়েও সাকিব আগে ভাবছেন দলের কথা। পুরস্কার নিতে এসে তিনি বলেন পুরো দলের প্রচেষ্টাতেই সিরিজ জয় করা গেছে।
সাকিব বলেন, ‘দারুণ লাগছে। দলের জয়ে অবদান রাখতে পারাটা সবসময়ই আনন্দের। জিম্বাবুয়ের মাটিতে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় কখনই সহজ ছিল না। সিরিজ জয়ে সবারই অবদান রয়েছে। পুরো দলই সিরিজে নিজের সেরাটা দিয়েছে।’
শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তামিম ইকবাল। সফর এখানেই সমাপ্ত হচ্ছে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের। হাঁটুর চোটের কারণে টি-টোয়েন্টি সিরিজ না খেলেই দেশে ফিরছেন তামিম। মুশফিকুর রহিম ফিরেছেন পারিবারিক কারণে।
দুই সিনিয়র ক্রিকেটার না থাকায় টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাড়টি দায়িত্ব নিতে হবে সাকিব আল হাসানকে। টি-টোয়েন্টি সিরিজেও চ্যাম্পিয়ন এই ক্রিকেটারকে সেরা ছন্দে দেখার প্রত্যাশায় ভক্তরা।