জিম্বাবুয়ের মাটিতে তাদেরকে কোনো সুযোগ না দিয়েই টানা তৃতীয় ওয়ানডে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের ৫ উইকেটে হারিয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় ও আইসিসি সুপার লিগের পূর্ণ ৩০ পয়েন্ট পেয়েছে টাইগার বাহিনী।
২৯৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১২ বল ও ৫ উইকেট অক্ষত রেখেই জয় পায় বাংলাদেশ। জয়ের মূল কারিগর ছিলেন তামিম ইকবাল। অনবদ্য সেঞ্চুরি করে ১১২ রানে আউট হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। অধিনায়ক হিসেবে তার প্রথম শতক।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে রান পাননি। ওয়ানডেতে দলের সেরা ব্যাটসম্যান আর এখন দলের অধিনায়ক। হাঁটুর ব্যাথা নিয়ে পুরো সিরিজ খেললেও বাড়তি একটা প্রত্যাশার চাপ ছিল তামিমের ওপর।
সেই প্রত্যাশা পূর্ণ করেন শেষ ম্যাচে এসে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দারুণ খেলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরি।
রান তাড়া করতে নেমে পরপর ভালো দুটি জুটি গড়েন তামিম। প্রথম লিটন দাসের সঙ্গে ওপেনিংয়ে ৮৮ ও পরে দ্বিতীয় উইকেটে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ৫৯।
লিটন ৩২ আর সাকিব ৩০ রান করে আউট হন। দুই সঙ্গী বিদায় নিলেও অবিচল ছিলেন তামিম।
৪৬ বলে তুলে নেন ৫০। আর পরের ৫০ আসে ৩৯ বলে। ৮৭ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলেন এই বাঁহাতি। বলের হিসেবে তার ব্যক্তিগত দ্রুততম।
২৯তম ওভারে নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তামিম। হাঁকান ৩টি ছক্কা ও সাতটি চার। ১১ ইনিংস পর সেঞ্চুরি পান তিনি।
মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়ে ৩৫ তম ওভারে আউট হন তামিম। ৯৭ বলে ১১২ রান করে টিরিপানোর বলে ফেরেন তিনি।
শতরানের পথে তামিমের কাভার ড্রাইভ। ছবি: টুইটার
সফরে এটাই তামিমের শেষ ইনিংস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দলের অন্যতম সেরা তারকাকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায় না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ না খেলে দেশে ফিরছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও সিরিজে বিশ্রামে থাকবেন এই হার্ড হিটার, এমনটা জানিয়েছে বিসিবি।
তামিম আউট হওয়ার পরের বলেই আউট হন মাহমুদুল্লাহ। শূন্য রানে কট বাহাইন্ড হন তিনি।
দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশকে সামাল দেন নুরুল হাসান সোহান ও মোহাম্মদ মিঠুন।
৬৪ রানের জুটি গড়েন তারা পঞ্চম উইকেটে। টানা পঞ্চম ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরির আগে আউট হন মিঠুন।
৪৪তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৫৭ বলে ৩০ রান আসে তার ব্যাটে।
আফিফ হোসেনকে নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন ৫ বছর পর একাদশে সুযোগ পাওয়া নুরুল হাসান। ষষ্ঠ উইকেটে ৩১ রান যোগ করেন দুইজন।
আফিফ ২৬ ও সোহান ৪৫ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৯৮ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন রেগিস চাকাবভা। সিকান্দার রাজা করেন ৫৪। আর রায়ান বার্লের ব্যাট থেকে আসে ৫৯ রান।
বাংলাদেশের হয়ে সাইফউদ্দিন ও মুস্তাফিজুর রহমান তিনটি করে উইকেট নেন। ৮ ওভারে ৮৭ রান দিয়ে সাইফউদ্দিন ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রান খরচ করা বোলার বনে যান।
দুই দলের টি-টোয়েন্টু সিরিজ শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার থেকে। পরিবর্তিত শিডিউল অনুযায়ী, ২২, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ে হবে তিনটি ম্যাচ। সবগুলো ম্যাচের ভেন্যুই হারারে স্পোর্টস ক্লাব।