সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জয় ও আইসিসি সুপার লিগে পূর্ণ ৩০ পয়েন্ট অর্জনের জন্য বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ২৯৯ রান। হারারেতে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে ২৯৮ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।ক্লিন সুইপের লক্ষ্যে মাঠে নেমে টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ।
দুই ওপেনার রেগিস চাকাবভা ও টাডিওয়ানাশে মারুমানি সতর্কভাবে খেলে উইকেট কাটিয়ে দেন ৮ ওভার। দুই পেইসার তাসকিন আহমেদ ও চোট সারিয়ে ফেরা মুস্তাফিজুর রহমানকে উইকেট দেননি তারা।
নবম ওভারে আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। ওভারের চতুর্থ বলে সুইপ করতে যেয়ে এলবিডলিউর ফাঁদে পড়েন মারুমানি। ১৯ বলে ৮ রান করে বিদায় নেন এই জিম্বাবুইয়ান ওপেনার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের জন্য ছিল বিশেষ এক উপলক্ষ। বাংলাদেশের জার্সিতে ২০০তম ওয়ানডে খেলতে নামেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
মাশরাফি মোর্ত্তজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবালের পর পঞ্চম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে এই মাইলফলকে পৌঁছান মাহমুদুল্লাহ।
নিজের বিশেষ ম্যাচে বল হাতে অবদান রাখেন তিনি। দলের হয়ে জোড়া আঘাতে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট এনে দেন।
নবম ওভারে সাকিব আল হাসান ব্রেক থ্রু এনে দেবার পর ১৮ তম ওভারে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার।
ওভারের চতুর্থ বলে মিড অফের ওপর দিয়ে মাহমুদুল্লাহকে উঠিয়ে মারতে যান ব্রেন্ডন টেইলর। মিড অফের একেবারে কিনারায় দাঁড়ানো বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবালকে ক্যাচ দেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক।
৩৯ বলে ২৮ রান করে ফেরেন তিনি। ভাঙ্গে টেইলর ও রেগিস চাকাবভার ৪২ রানের জুটি।
এরপর ৭১ রানের জুটি গড়েন ডিওন মায়ার্স ও চাকাবভা। আস্থার সঙ্গে খেলতে থাকা মায়ার্সকেও ফেরান মাহমুদুল্লাহ।
৩০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মাহমুদুল্লাহকে কাট করতে যেয়ে বোল্ড হন মায়ার্স। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান।
পরের ওভারে ওয়েসলি মাধেভেরে স্লোয়ারে পরাস্ত করে সাকিবের ক্যাচ বানান মুস্তাফিজ। জিম্বাবুয়ে পরিণত হয় চার উইকেটে ১৫৬ রানে।
তিন ওভার পরে যখন এক প্রান্তে লড়তে থাকা চাকাবভা আউট হন তখন আবারও স্বল্প পুঁজিতে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা স্বাগতিক দলের সামনে। ৯১ বলে ৮৪ রান করে তাসকিনের বলে আউট হন চাকাবভা।
চাকাবভাকে আউট করে তাসকিনের উচ্ছ্বাস। ছবি: টুইটার
এরপরই আসে ম্যাচের জিম্বাবুয়ের জন্য সবচেয়ে সফল জুটি। ষষ্ঠ উইকেটে ১৩ ওভার দুই বল টিকেছিলেন রায়ান বার্ল ও সিকান্দর রাজা। এই সময়েই তারা যোগ করেন ১১২ রান।
৫৪ বলে ৫৭ রান করে আউট হন রাজা। মুস্তাফিজের বলে আউট হওয়ার আগে এক ছক্কা ও ৭টি চার হাকাঁন বোন ম্যারো ইনফেকশন কাটিয়ে এই সিরিজ দিয়ে দলে ফেরা রাজা।
তার সঙ্গী বার্ল ছিলেন আরও মারমুখি ছিলেন বার্ল। ৪২ বলে ৪টি বিশাল ছক্কা ও চার বাউন্ডারিতে ৫৯ রান করেন তিনি।
৪৯তম ওভারে বার্ল যখন আউট হন জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৯৪। শেষ ৩ উইকেট মাত্র চার রানে তুলে নেয় বাংলাদেশ।
সাইফউদ্দিন ও মুস্তাফিজ ৩টি করে উইকেট নেন। তবে খরুচে ছিলেন সাইফউদ্দিন।৮ ওভারে ৮৭ রান দেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এটাই কোনো বাংলাদেশি বোলারের সবচেয়ে খরুচে বোলিং।