বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্যালিসকে ছাড়িয়ে সাকিব

  •    
  • ১৯ জুলাই, ২০২১ ১২:০৪

শুরুটা জেনুইন অলরাউন্ডার হিসেবে করলেও, ক্যারিয়ার লম্বা হওয়ার সঙ্গে ব্যাটিং অলরাউন্ডারে পরিণত হন ক্যালিস। সাকিবের ক্ষেত্রে হয়েছে উল্টোটা। বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে শুরু করে এখন নিখাঁদ সব্যসাচী তিনি।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের দিন ব্যাট বল হাতে পারফর্ম করে অনন্য এক রেকর্ড ছুঁয়েছেন সাকিব আল হাসান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে জ্যাক ক্যালিসের পর ১২ হাজার রান ও ৫০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।

তবে ক্যালিসের চেয়ে অনেক কম ম্যাচ খেলেই এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন সাকিব। ১৭১ আন্তর্জাতিক ম্যাচ কম খেলে তিনি পৌঁছেছেন ১২ হাজার রান ও ৫০০ উইকেটের ডাবলে।সাউথ আফ্রিকান কিংবদন্তি জ্যাক ক্যালিস নিজের সময়ে ছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। শুরুটা জেনুইন অলরাউন্ডার হিসেবে করলেও, ক্যারিয়ার লম্বা হওয়ার সঙ্গে ব্যাটিং অলরাউন্ডারে পরিণত হন ক্যালিস।সাকিবের ক্ষেত্রে হয়েছে উল্টোটা। বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে শুরু করে এখন নিখাঁদ সব্যসাচী তিনি। ব্যাট করেন তিনে আর বল হাতে দেশের সেরা অস্ত্র।পরিসংখ্যানে অবশ্য যোজন এগিয়ে ক্যালিস। ১৯ বছরের ক্যারিয়ারের ৫১৯ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ক্যালিসের রান ২৫,৫৩৪। সঙ্গে উইকেট ৫৭৭।আর ৩৪৮ ম্যাচে সাকিবের রান ১২,০৭০, উইকেট ৫৮৩। অলরাউন্ডারদের ব্যাটিং গড়ের সঙ্গে বোলিং গড়ের পার্থক্য যত বেশি ততটা ভালো পারফর্ম্যান্স ধরা হয়।ক্যালিসের ব্যাটিং ও বোলিং গড়ের পার্থক্য ১৬.৯৫। আর সাকিবের ৬.৯৯।

সাউথ আফ্রিকা দলের অনুশীলনে ব্যাটিং পরামর্শক জ্যাক ক্যালিস। ছবি: এএফপি

সাকিবের হাতে কিছুটা সময় আছে এই পার্থক্য কমিয়ে আনার। ৩৪ বছরের সাকিব নিজেই জানিয়েছেন আরও চার-পাঁচ বছর খেলা চালিয়ে যাওয়ার। তেমনটা হলে ক্যালিসের সংগে নিজের ব্যবধানটা কমাতে চাইবেন বর্তমান বিশ্বের এক নম্বর।জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের পর জানালেন নিজের সাফল্যের মূলমন্ত্র। মানসিকভাবে ফোকাস না হারানোতেই রান পেয়েছেন ব্যাটে। ম্যাচ জিতিয়েছেন দলকে।ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমকে সাকিব বলেন, ‘পরিশ্রম তো করতেই হয় তবে মাইন্ডসেটটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি হয়তো অনেক বেশি চিন্তা করছিলাম সবকিছু নিয়ে। যেটা এই ম্যাচের আগে বদল করেছি। চেষ্টা করব যেন ফোকাস ধরে রাখতে পারি।‘এতদিন খেলার পর আসলে টেকনিক্যাল কোনো সমস্যা হয় না। মানসিক সমস্যাটাই আসল। নিজের সঙ্গে নিজের মানসিক চ্যালেঞ্জটা যদি জিততে পারি তাহলে নিয়মিত রান পাওয়া সম্ভব।’প্রায় দেড় দশকের ক্যারিয়ারের সাকিব নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন তার প্রজন্মের সেরা অলরাউন্ডারে। তবে ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে দলীয় অর্জনই তাকে আনন্দ দেয় জানালেন টাইগারদের অন্যতম সিনিয়র এই ক্রিকেটার।‘খুবই খুশি যে দলের জন্য অবদান রাখতে পেরেছি। বল বা ব্যাট হাতে কোনটাই কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। আমি সবসময়ই চেষ্টা করি অবদান রাখতে। দুটো ম্যাচেই পেরেছি দেখে ভালো লাগছে’, বলেন সাকিব।

এ বিভাগের আরো খবর