২০১৫ সালে দেশের অন্যতম সেরা স্ট্রোক প্লেয়ার হিসেবেই জাতীয় দলের জায়গা করে নেন লিটন দাস। এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে ধরা হচ্ছিল বাংলাদেশ জাতীয় দলের টপ অর্ডারের ভবিষ্যত তারকা।তবে নিজের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করতে পারেননি লিটন। শুরু থেকেই ভুগতে থাকেন ধারাবাহিকতার অভাবে। জাতীয় দলের সঙ্গে তিন বছর ও ১৭ ম্যাচ খেলার পর প্রথম ফিফটির দেখা পান।এশিয়া কাপ ফাইনালের সেই ফিফটিকে পরিণত করেন অনবদ্য শতকে। তারপর আবার শুরু দেড় বছরের অপেক্ষা।ক্যারিয়ারের সেরা সময় আসে ২০২০ সালের মার্চে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজে উড়ন্ত ফর্মে ছিলেন লিটন। প্রথম ম্যাচে ১২৬ রান করার পর তৃতীয় ম্যাচে খেলেন বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৭৬ রানের ওয়ানডে ইনিংস।এরপরই আবার ছন্দপতন। এবারে অবশ্য লিটনের নিজের কারণে নয়। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বৈশ্বিক সব ইভেন্টের মতো প্রভাব পড়ে ক্রিকেটেও।ফর্মের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় খেলায় বিরতি পড়ায় ছন্দ হারান লিটন। সে বিষয়টা তাকে আজও পোড়ায়।বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় লিটন বলেন, ‘কোভিডের আগে বিষয়টা ছিল যে আমি ভালো মোমেন্টাম পেয়েছিলাম। ওই সময় বিরতি না পড়লে আমার চান্স ছিল আরও রান করার কারণ আমার সেরা সময় চলছিল। কোভিডের পর রান করা কিছুটা চাপ ছিল মাথায়। যে কারণে পারফরম্যানস ভালো হয়নি।’জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ফর্মে ফিরেছেন এই হার্ডহিটার। শুধু সেঞ্চুরিই করেননি, বিপর্যয়ের সময় দলকে রক্ষা করেছেন ও বড় স্কোরের পেছনে সর্বোচ্চ অবদান রেখেছেন। তার ১০২ রানের ইনিংসে ২৭৬ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।এখানে আর থামতে চাননা লিটন। দলের হয়ে প্রতি ম্যাচে অবদান রাখতে মুখিয়ে আছেন।‘চেষ্টা থাকবে ভালো কিছু করার। দলকে যেন সহায়তা করতে পারি। ফর্মে ফেরার পেছনে সতীর্থদের সাহায্য ও ফ্যামিলির সমর্থন ছিল। বিশেষ করে আমার স্ত্রীর সমর্থন ছিল,’ যোগ করেন তিনি।প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরির সময়ে পেশিতে টান লাগায় মেডিক্যাল টিমে সাহায্য নিতে হয় লিটনকে। তবে টাইগার ওপেনার জানালেন চোট গুরুতর নয়।বলেন, ‘কুঁচকিতে ব্যাথা পেয়েছিলাম। তেমন সিরিয়াস কিছু নয়। একদিন বিশ্রাম নিলে সব ঠিক হয়ে যাবে। আর কব্জির ব্যাথাটা আগে থেকেই ছিল। হালকা ব্যাথা করছিল। এই চোটের কারণেই ডিপিএলে ১১টা ম্যাচের মতো খেলতে পারিনি। চোট থেকে সেরে উঠে টেস্ট খেলেছি। ছন্দটা ফিরে পাওয়া জরুরী ছিল।’একদিন বিশ্রামের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে রোববার মাঠে নামছেন লিটন-সাকিবরা। হারারেতে দুপুর দেড়টায় শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ।