ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে শুভ সূচনা করেছে পাকিস্তান। হাই স্কোরিং ম্যাচে পাকিস্তানের করা ৬ উইকেটে ২৩২ রানের জবাবে ২০১ রানে থামে স্বাগতিক দলের ইনিংস।
নটিংহ্যামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। সফরকারী দলকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম। দেড় শ রানের জুটি গড়েন তারা।
১৪ ওভার ৪ বলে আসে তাদের ১৫০ রানের জুটি। ৪১ বলে ৬৩ রান করেন রিজওয়ান। এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের ফিফটি আসে ৩৪ বলে। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও এক ছক্কা।
পাকিস্তান অধিনায়ক আজম ছিলেন আরও আক্রমণাত্মক। ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর ৮৫ রান করে আউট হন তিনি।
তার ৪৯ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা। এই দুইজনের বিদায়ের পর পাকিস্তান ইনিংসের শেষটাও হয় দারুণ।
ফখর জামানের ৮ বলে ২৬ এর সঙ্গে যোগ হয় অভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজের ১০ বলে ২৪ রান। দুইজনই ৩টি করে ছক্কা হাঁকান।
পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৩২ রানের বড় সংগ্রহ পায়।
বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় ইংল্যান্ড। পাওয়ার প্লেতে ডাউয়িড মালান, জনি বেয়ারস্টো ও মইন আলির উইকেট হারায় স্বাগতিক দল। তাদের বোর্ডের রান তখন ৪.৩ ওভারে ৪৮।
এরপর একাই ইনিংস টানেন লিয়াম লিভিংস্টোন। পাকিস্তানি বোলারদের কাউন্টার অ্যাটাক করে এগোতে থাকেন লক্ষ্যের দিকে। তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি।
৪২ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছে গড়েন ইংল্যান্ডের পক্ষে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির রেকর্ড। লিভিংস্টোনের সেঞ্চুরি ছোঁয়ার সময় পাকিস্তানের সামনে ২২ বলে ৫০ রানের লক্ষ্য ছিল।
তবে সেঞ্চুরির পরের বলেই আউট হন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। তার ৪৩ বলে ১০৩ রানের ইনিংস ছিল ৯টি বিশাল ছক্কা ও ৬টি চার।
লিভিংস্টোন আউট হওয়ার পর আস্কিং রেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যাট করতে পারেনি ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। ফলে ২০১ রানেই থামতে হয় তাদের। চার বল আগে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা।
লিভিংস্টোনের সেঞ্চুরির পর ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ রান ছিল জেসন রয়ের ১৩ বলে ৩২ রান।
পাকিস্তানের পক্ষে শাহিন আফ্রিদি ৩০ রানে আর শাদাব খান ৫২ রান ৩টি করে উইকেট নেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন আফ্রিদি।
রোববার দুই দলের দ্বিতীয় ম্যাচ হবে লিডসে।