বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম দুই ম্যাচের মতো তৃতীয় ম্যাচেও সফরকারীদের কোনো সুযোগ না দিয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিক দল।
সেইন্ট লুসিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার করা ছয় উইকেটে ১৪১ রানের লক্ষ্যকে ছয় উইকেট ও ৩১ বল অক্ষত রেখে টপকে যায় উইন্ডিজ।
সিরিজে টিকে থাকলে হলে জিততে হবে ম্যাচ এমন চাপ নিয়ে টস করতে নামেন অ্যারন ফিঞ্চ। টস জিতে সিদ্ধান্ত নেন ব্যাট করার।
দুই অজি ওপেনার ম্যাথিউ ওয়েড ও ফিঞ্চ দ্রুত গতিতে শুরু করেন। ১৬ বলে ২৩ রান করে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে আউট হন ওয়েড।
নবম ওভারে আউট হন মিচেল মার্শ। ৯ রান করে ফাবিয়ান অ্যালেনের বলে ফেরেন এই অলরাউন্ডার।
দ্বাদশ ওভারে অস্ট্রেলিয়াকে জোড়া আঘাত করেন হেইডেন ওয়ালশ। ওভারের প্রথম বলে অ্যালেক্স ক্যারি ও পঞ্চম বলে ফিঞ্চকে তুলে নেন এই স্পিনার।
অস্ট্রেলিয়ার বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায় সেখানেই। দলকে দেড় শর কাছাকাছি স্কোর এনে দেন মোয়েজেস এনরিকেস ও অ্যাস্টন টার্নার। এনরিকেসের ৩৩ ও টার্নারের ২৪ রানে নির্ধারিত ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর দাঁড়ায় ১৪১/৬।
জবাবে নিজেদের ইনিংসের তৃতীয় বলে আন্ড্রে ফ্লেচারকে হারায় উইন্ডিজ। মিচেল স্টার্কের বলে ৪ রান করে আউট হন ক্যারিবিয়ান ওপেনার।
পাওয়ার প্লে ওভারের মধ্যেই আউট হন আরেক ওপেনার লেন্ডল সিমন্স। তার ব্যাট থেকে ১৫।
দুই ওপেনারকে দ্রুত হারানোর পরও সহজ জয় পায় উইন্ডিজ। যার মূল কারণ ছিলেন ক্রিস গেইল। টি-টোয়েন্টি সুপারস্টারের ব্যাটে উড়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন।
৩৮ বলে ৬৭ রান করেন গেইল। যার মধ্যে ছিল ৭টি বিশাল ছক্কা ও ৪টি বাউন্ডারি।
গেইলের তাণ্ডবে ১১.৪ ওভারে ১০০ রান তুলে ফেলে উইন্ডিজ। ১২তম শেষ ওভারে আউট হলেও ম্যাচ ও সিরিজ নিশ্চিত করতে সমস্যা হয়নি স্বাগতিক দলের।
নিকোলাস পুরানের অপরাজিত ২৭ বলে ৩২ রানের ইনিংসে ৫.১ ওভার আগেই জয় পায় উইন্ডিজ।
অনবদ্য হাফ সেঞ্চুরির কারণে ম্যাচ সেরা হন গেইল। এই ম্যাচে তিনি সব ফরম্যাটের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ১৪ হাজার রান করা প্রথম ক্রিকেটার হয়েছেন।
সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টি একই ভেন্যুতে বৃহস্পতিবার।