হারারে টেস্টে জিম্বাবুয়েকে পাহাড়সম টার্গেট দিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে তিন উইকেট নিয়ে বেশ স্বস্তিতে আছে মুমিনুল হক বাহিনী।
টেস্টের শেষ দিনে জিম্বাবুয়ের দরকার ৩৩৭ রান। টেস্টটা জিতে স্মরণীয় করে রাখতে টাইগারদের প্রয়োজন সাত উইকেট।
এর আগে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে শাদমান ইসলাম ও নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের সামনে পাহাড় সমান লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ।
দুই ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় এক উইকেটে ২৮৪ রান। লিড ৪৭৬ রানের। অর্থাৎ হারারে টেস্ট জিততে হলে জিম্বাবুয়েকে ৪৭৭ রান করতে হবে।
নাজমুল ১১৭ রানে অপরাজিত থাকেন। আর শাদমান খেলছিলেন ১১৫ রানে। মুমিনুল হক তখন ইনিংস ঘোষণা করে দেন।
টার্গেটে নেমে ১৪০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে জিম্বাবুয়ে। ব্যাটিংয়ের তিন স্তম্ভ হিসেবে মিল্টন শুম্বা, কাইটানো ও অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলরকে হারিয়ে ব্যাকফুটে আছে জিম্বাবুয়ে। ৯২ রান করে বিদায় নেন টেলর।
পঞ্চম দিনে পিচ আরও কঠিন হয়ে যাবে ব্যাটসম্যানদের জন্য। ১৮ রানে ক্রিজে টিকে আছেন ডিওন মায়ার্স ও সাত রানে ডনাল্ড টিরিপানো।
জিম্বাবুয়ের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ থাকবে সাত উইকেটে এই টেস্ট ড্র করা। শেষ দিন সাত উইকেট নেয়ার চ্যালেঞ্জে নামতে হবে বাংলাদেশকে।
এর আগে বিনা উইকেটে ৪৫ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম ঘণ্টা সাইফ হাসানের সঙ্গে নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন ২২ রানে অপরাজিত থাকা শাদমান। ৮৮ রানের জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হন দুই জন।
রিয়ার্ড এনগারাভার বলে গালিতে ক্যাচ দেন সাইফ। ৪৩ রান করে ফেরেন তিনি।
ওপেনিং জুটি ভাঙার পর ওয়ান ডাউনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে জুটি বাঁধেন শাদমান। প্রথম সেশনের বাকি সময়ে দলকে নিরাপদে রাখেন এই দুই জন।
লাঞ্চের আগেই শাদমান তুলে নেন তার তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি। মধ্যাহ্ন বিরতিতে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৭২ রানে।
দ্বিতীয় সেশনে দুই জনই তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১৮০ বলের ইনিংসে করা শতরানে ৮টি বাউন্ডারি হাঁকান শাদমান। এটি তার প্রথম টেস্ট শতক।
শাদমানের মতো সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শান্তও। তবে শাদমান যেখানে খেলেছেন রয়েসয়ে সেখানে শান্ত ছিলেন আক্রমণাত্মক।
৬০ বলে দ্বিতীয় টেস্ট ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। এরপর বাকি ৫০ রান করতে খেলেন ৫৯ বল।
সবমিলিয়ে ১০৯ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়া এই ব্যাটসম্যান।
শান্ত-শাদমান মিলে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ১৯৬ রান।
এর আগে, জিম্বাবুয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৭৬ রানে অলআউট হয়। মাহমুদুল্লাহর ১৫০ ও তিন ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৪৬৮।
জিম্বাবুয়ের মাটিতে ৭ ম্যাচ খেলে মাত্র একটি করে জয় ও ড্রয়ের স্বাদ নিয়েছে বাংলাদেশ। ৫টি ম্যাচ হেরেছে তারা। ২০১৩ সালে একমাত্র জয়ের স্বাদ পায় টাইগাররা। এবার আট বছর পর সেই আক্ষেপ মেটাতে প্রস্তুত রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা।