চতুর্থ দিন সকালে যখন নাজমুল হোসেন শান্ত নামেন তখন অন্য প্রান্তে তার সঙ্গী শাদমান ইসলামের রান ৪৫।
দুই জনে মিলে ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে নিয়ে গেলেন ম্যাচ জয়ের জায়গায়। দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে সফরকারী দলের লিড ছাড়াল ৪৫০।
আর শাদমানের মতো সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শান্তও। তবে শাদমান যেখানে খেলেছেন রয়েসয়ে সেখানে শান্ত ছিলেন আক্রমণাত্মক।
৬০ বলে দ্বিতীয় টেস্ট ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। এরপর বাকি ৫০ রান করতে খেলেন ৫৯ বল।
সবমিলিয়ে ১০৯ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়া এই ব্যাটসম্যান।
তার ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কার মার। এর মধ্যে র কাইয়ার করা ৬৫তম ওভার থেকে তুলে নেন ১৪ রান।
৮৫ রান নিয়ে ওভার শুরু করে পৌছান ৯৯ রানে। পরের ওভারে মিল্টন শুম্বার বল লেগে ঠেলে দিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসেন শান্ত।
শান্ত-শাদমান মিলে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেছেন ১৮৯ রান। বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ৪৭০-এ।
বিনা উইকেটে ৪৫ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম ঘণ্টা সাইফ হাসানের সঙ্গে নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন ২২ রানে অপরাজিত থাকা শাদমান। ৮৮ রানের জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হন দুই জন।
রিয়ার্ড এনগারাভার বলে গালিতে ক্যাচ দেন সাইফ। ৪৩ রান করে ফেরেন তিনি।
ওপেনিং জুটি ভাঙার পর ওয়ান ডাউনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে জুটি বাঁধেন শাদমান। প্রথম সেশনের বাকি সময়ে দলকে নিরাপদে রাখেন এই দুই জন।
লাঞ্চের আগেই শাদমান তুলে নেন তার তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি। মধ্যাহ্ন বিরতিতে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৭২ রানে।
এর আগে, জিম্বাবুয়ে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৭৬ রানে অলআউট হয়। মাহমুদুল্লাহর ১৫০ ও তিন ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৪৬৮।