জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টে ব্যাট করতে বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের ব্যাটিং লাইনআপের অধিকাংশ ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছে সফরকারী দল। স্কোর ১৩২/৬।
সকালে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মুমিনুল। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একেবারের বাজে হয় বাংলাদেশের।
প্রথম পাঁচ ওভারে তারা হারায় ওপেনার সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট। ৪.২ ওভারে তাদের সংগ্রহ ছিল ৮/২।
ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে ব্লেসিং মুজারাবানির ইন সুইঙ্গারে ফরোয়ার্ড খেলতে যেয়ে বোল্ড হন সাইফ। ৫ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এটি তার তৃতীয় ডাক।
স্বাগতিক দলের দ্বিতীয় সাফল্য আসে পঞ্চম ওভারে। মুজারাবানির দ্বিতীয় বলে শট খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন নাজমুল।
অভিষিক্ত ডিওন মায়ার্স কোনো ভুল করেননি তা লুফে নিতে। ২ রান করে ফেরেন নাজমুল।
বিপদে পড়া বাংলাদেশকে কিছুটা সামাল দেন অধিনায়ক মুমিনুল হক ও ওপেনার শাদমান ইসলান। ৮ রানে ২ উইকেট হারানোর পর, তৃতীয় উইকেটে এই দুজন স্থিরতা দেন টাইগারদের।
১৫ ওভার ৫ বল খেলে জুটি ৬০ রান করেন মুমিনুল-শাদমান। শাদমানের বিদায়ে ভাঙ্গে জুটি।
৬৪ বলে ২৩ রান করে আউট হন টাইগার ওপেনার। রিচার্ড এনগারাভার বলে স্লিপে দাঁড়ানো ব্রেন্ডন টেইলরের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
সেখান থেকে দলকে মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত নিয়ে যান মুমিনুল ও মুশফিকুর রহিম। বিরতির সময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৭০/৩। মুমিনুল ৩২ ও মুশফিক এক রান নিয়ে খেলছিলেন।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেও দলকে ভরসা দিচ্ছিলেন মুশফিক-মুমিনুল। বাংলাদেশ স্কিপার পূর্ণ করেন তার ১৪তম টেস্ট ফিফটি।
তাদের জুটি ৩৮ রানে পৌঁছালে আউট হন মুশফিক। ৩০ বলে ১১ রান করে মুজারাবানির বলে এলবিডব্লিউ হন সাবেক অধিনায়ক।
পরের ওভারেই বাংলাদেশকে ধাক্কা দেন ভিক্টর নিয়াউচি। সাকিব আল হাসানকে ৩ রানে কট বাহাইন্ড করেন এই মিডিয়াম পেইসার।
১০৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যরা।
সাকিবের আউটের পর লিটন দাসকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন মুমিনুল। সফল হয়নি তার প্রচেষ্টা। ৭০ রান করে নিয়াউচির বলে আউট হন তিনি।