নিজেদের মাটিতে বেশ শক্ত প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশকে বরাবরই কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে ওখানে। তবে সিরিজের একমাত্র টেস্ট ম্যাচকে সামনে রেখে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ।
প্রস্তুতি ম্যাচে দলীয় নৈপূণ্যের পর বাংলাদেশ অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী। বিদেশের মাটিতে পজিটিভ ক্রিকেট উপহার দেয়ার আশ্বাস অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের।
দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে এক ভিডিও বার্তায় এই বোলিং অলরাউন্ডার বলেন, ‘সবাই আমাদের পজিটিভ ক্রিকেট খেলেছে। কালকে যখন ব্যাটিং করেছি সবাই পজিটিভ ছিলাম। ভালোমতই খেলেছে। যে প্রসেস অনুযায়ী খেলার কথা ছিল সেভাবেই খেলেছি।
‘এভাবেই যদি খেলতে পারি তাহলে ব্যাটসম্যানরা ভালো করবেন এবং অনেক রান করতে পারবে।’
প্রথম টেস্টের আগে বলা যায় বেশ ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে প্রস্তুতি সারল বাংলাদেশ দল।
দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনে তিন ফিফটিতে ২ উইকেট হারিয়ে ৩১৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনে জিম্বাবুয়েকে ২০২ রানে অলাউট করে টাইগাররা। বোলিংয়ে দেখায় দারুণ পারফরম্যান্স।
দেশের বোলারদের মানসিকভাবে তৈরি করছেন বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং পরামর্শক শ্রীলঙ্কান গ্রেট রঙ্গনা হেরাথ। তার কথা টেনে আনলেন মিরাজ।
প্রস্তুতি ম্যাচে তিন উইকেট নেয়া স্পিনার মিরাজ বলেন, ‘এই তিন-চার দিন (হেরাথ) স্বতন্ত্রভাবে কাজ করেছেন বোলারদের সঙ্গে। কথাও বলেছেন। উনি আমাদের নিয়ে ট্যাকটিক্যালি ও টেকনিক্যালি যেসব বিষয় নিয়ে কাজ করছেন, আমরা যদি এগুলো ধরতে পারি আশা করি ভালো কিছু হবে। উনি মানসিকভাবে অনেক শক্ত।’
দলে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানেরর উপস্থিতি বাড়তি সুবিধা দিবে বলে বিশ্বাস মিরাজের। ব্যাট হাতে ফিফটির সঙ্গে বল হাতে তিন উইকেট পেয়েছেন সাকিব
তার স্পিন পার্টনার মিরাজ বলেন, ‘স্পিনাররা ভালো করেছে এই ম্যাচে। সাকিব ভাই দারুণ শুরু করেছেন। আমি তিন উইকেট পেয়েছি। স্পিনাররা উইকেট পাচ্ছে এটা দলের জন্য ভালো। সাকিব ভাই দলে থাকলে আমাদের দলের জন্য আলাদা সুবিধা থাকে।
‘যখন খেলি খেলার মধ্যেও সাকিব ভাই অনেক টিপস দেন। কোন কন্ডিশনে কীভাবে বল করতে হয় সেভাবে নির্দেশনা দেন। আমি সফলও হয়েছি। অনেকদিন পর সাকিব ভাই এসেছেন। এতে ব্যাটিং-বোলিং দুইটাই আমাদের জন্য সুবিধার।’
বুধবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট দিয়ে শুরু হবে টাইগারদের মাঠের লড়াই। প্রস্তুতি ম্যাচে বোলিং-ব্যাটিং দুই জায়গাতেই আত্মবিশ্বাস ফিরতে দেখা যায় বাংলাদেশ দলকে।
এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে ৭ জুলাই হারারেতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাঠে নামবে মুমিনুল হকের বাহিনী।
২০১৪ সাল থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ছয়টি টেস্ট খেলেছে টাইগাররা। হেরেছে মাত্র একটিতে। কিন্তু শেষ ছয়টি ম্যাচ নিজেদের কন্ডিশনে খেলেছে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের মাটিতে ৭ ম্যাচ খেলে মাত্র একটি করে জয় ও ড্রয়ের স্বাদ নিয়েছে বাংলাদেশ। ৫টি ম্যাচ হেরেছে তারা। ২০১৩ সালে একমাত্র জয়ের স্বাদ পায় টাইগাররা।