জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে রানের পাহাড় গড়ার পর বোলিংয়েও দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের অল্প রানেই গুটিয়ে দেয়ার দিনে বোলিং নৈপূণ্য দেখিয়েছেন সাকিব-মিরাজ-তাসকিনরা।
প্রথম টেস্টের আগে বলা যায় বেশ ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে প্রস্তুতি সারল বাংলাদেশ দল।
দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনে তিন ফিফটিতে ২ উইকেট হারিয়ে ৩১৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় দিনে জিম্বাবুয়েকে ২০২ রানে অলাউট করে টাইগাররা। বোলিংয়ে দেখায় দারুণ পারফরম্যান্স। তিনটি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।শরিফুল ইসলাম নেন দুই উইকেট। বাকি একটি উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ।
জিম্বাবুয়ের পক্ষ থেকে একটাই ফিফটি আসে অধিনায়ক টিমিসেন মারুমার ব্যাট থেকে। ৭৪ ওভার পাঁচ বলে জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে গেলে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।
প্রথম দিনে বিশ্রামে থাকা তামিম ইকবাল ব্যাটিংয়ে নামেন এবার। ৭ ওভার এক বলে খেলা যখন চলছিল তখন তামিম ৩০ বলে ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। অপরাজিত থেকে ১৩ বলে ৪ রান তোলেন সাদমান। দলের সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ২২ রান।
প্রস্তুতি ম্যাচে বোলিং-ব্যাটিং দুই জায়গাতেই আত্মবিশ্বাস ফিরতে দেখা যায় বাংলাদেশ দলকে। এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে ৭ জুলাই হারারেতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাঠে নামবে মুমিনুল হকের বাহিনী।
২০১৪ সাল থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ছয়টি টেস্ট খেলেছে টাইগাররা। হেরেছে মাত্র একটিতে। কিন্তু শেষ ছয়টি ম্যাচ নিজেদের কন্ডিশনেই খেলেছে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের মাটিতে ৭ ম্যাচ খেলে মাত্র একটি করে জয় ও ড্রয়ের স্বাদ নিয়েছে বাংলাদেশ। ৫টি ম্যাচ হেরেছে তারা। ২০১৩ সালে একমাত্র জয়ের স্বাদ পায় টাইগাররা।
সর্বশেষ সফরে, দুই ম্যাচের টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারে টাইগাররা।
অনুশীলন ম্যাচে বাংলাদেশ দল
সাদমান ইসলাম, তামিম ইকবাল সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মাহমুদুল্লাহ, মেহেদি মিরাজ, নাইম হাসান, তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ রাহি, এবাদত হোসেন ও শরিফুল ইসলাম।