জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে রানের ঝড় তুলেছে বাংলাদেশ। তামিম-মুশফিককে ছাড়াই ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয়ভাবে বড় সংগ্রহ তুলেছেন ক্রিকেটাররা।সাদমান ছাড়া এদিন উজ্জ্বল ছিল সবারই ব্যাট। দুই উইকেটে বাংলাদেশ তুলেছে ৩১৩ রান।
বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় হারারের তাকাসিঙ্গা স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শুরু হয়েছে ম্যাচ। প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিলেন স্থানীয় ক্রিকেটারদের সমন্বয়ে গড়া জিম্বাবুয়ে একাদশ।
ওপেনিংয়ে শূন্য রানে ফেরেন সাদমান ইসলাম। ফিফটি এসেছে তিনটি। বহুদিন পর রানে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান।
লুক জঙ্গওয়ের বলে সাদমানের বিদায়ের পর ১০৮ বলে ৬৫ রানের ইনিংস উপহার দেন আরেক ওপেনার সাইফ হাসান। সাইফ অবসরে নিলে নাজমুল হোসেন শান্ত ১০৭ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে অবসরে যান।
এরপরে শুধু অধিনায়ক মুমিনুল হক আউটের শিকার হন। ৭৭ বলে ২৯ রানে ব্রাইটন চিপুঙ্গুর বলে সাজঘরে ফেরেন মমিনুল। বহুদিন পরে ব্যাটে রান পান সাকিব।৫৬ বলে ৭৪ রানের ঝড় তোলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। পরে ৮২ বলে ৩৭ রানের ছোট ইনিংস খেলে অবসর নেন লিটন দাস।
ব্যাটিংয়ে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী মিরাজ। ৭১ বলে ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন রিয়াদ ও ১১ বলে ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মিরাজ।
প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং করবে জিম্বাবুয়ে।
৭ জুলাই শুরু হচ্ছে সফরের একমাত্র টেস্ট ম্যাচ।
২০১৪ সাল থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ছয়টি টেস্ট খেলেছে টাইগাররা। হেরেছে মাত্র একটিতে। কিন্তু শেষ ছয়টি ম্যাচ নিজেদের কন্ডিশনেই খেলেছে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের মাটিতে ৭ ম্যাচ খেলে মাত্র একটি করে জয় ও ড্রয়ের স্বাদ নিয়েছে বাংলাদেশ। ৫টি ম্যাচ হেরেছে তারা। ২০১৩ সালে একমাত্র জয়ের স্বাদ পায় টাইগাররা।
সর্বশেষ সফরে, দুই ম্যাচের টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারে টাইগাররা।
অনুশীলন ম্যাচে বাংলাদেশ দল: শাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মাহমুদুল্লাহ, মেহেদি মিরাজ, নাইম হাসান, তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ রাহি, এবাদত হোসেন ও শরিফুল ইসলাম।