সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডেতে ২১ রানে জয়ে ২-২ এ সমতা ফিরিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গায়ানার সেইন্ট জর্জেসে উইন্ডিজের করা ১৬৭ রানের জবাবে ১৪৬ রানে থামে সাউথ আফ্রিকার ইনিংস।টস জিতে স্বাগতিক দলকে ব্যাট করতে পাঠান প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। বৃষ্টি বাধা দিলেও ম্যাচের ওভার কাটা পড়েনি।লেন্ডল সিমন্সের ব্যাটে ঝড়ো সূচনা করে উইন্ডিজ। পাওয়ার প্লেতে ছয় ওভারে ৫৭ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে তারা। এর মধ্যে হারাতে হয় এভন লুইস ও ক্রিস গেইলের উইকেট।পাওয়ার প্লের পর দ্রুত শেমরন হেটমায়ার, সিমন্স, নিকোলাস পুরান ও আন্ড্রে রাসেলের উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরে সফরকারী দল।১০১ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে স্বল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ছিল উইন্ডিজ। তেমনটা হতে দেননি কাইরন পোলার্ড। উইন্ডিজ অধিনায়কের তাণ্ডবে দেড় শ ছাড়ায় স্বাগতিক দল।২৫ বলে পাঁচ ছক্কায় ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন পোলার্ড। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন সিমন্স। নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৭ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রিজা হেনড্রিকস ও টেম্বা বাভুমার উইকেট হারায় সাউথ আফ্রিকা। এইডেন মারক্রাম ও কুইন্টন ডি ককের ছোট একটা জুটিতে কিছুদূর এগোয় সফরকারী দল।কিন্তু আন্ড্রে রাসেলের বলে ২০ রান করা মারক্রাম ফিরলে শুরু হয় প্রোটিয়াদের আসা যাওয়া। ভ্যান ডার ডুসেন, ডেভিড মিলার ও জর্জ লিন্ডে কেউই বড় কোন রান করতে পারেননি।ডোয়েইন ব্রাভো বোলিংয়ে এসে পালটে দেন সবকিছু। লিন্ডেকে ছয় রানে ফিরিয়ে শুরু করেন ব্রাভো।একে একে ডি কক তামরেজ শামসি ও লুঙ্গি এনগিডির উইকেট তুলে নিয়ে সাউথ আফ্রিকাকে ধসিয়ে দেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।৪৩ বলে ৬০ রান করা ডি কক একাই লড়েন উইন্ডিজের বিপক্ষে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেন মারক্রাম। নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৬ রানের বেশি করতে পারেনি সাউথ আফ্রিকা।ব্রাভো চার উইকেট নেন ১৯ রান খরচায়। এটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ম্যাচ সেরা হন পোলার্ড।
সিরিজের পঞ্চম ও নির্ধারনী ম্যাচ শনিবার রাত ১২টায়।