জিম্বাবুয়ে সফররত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সব খেলোয়াড়, স্টাফসহ অন্যরা করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ফলে বৃহস্পতিবার অনুশীলনে নামার অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশ দল।
বুধবার ভোরে জিম্বাবুয়ে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। সেখানে পৌঁছে বিমানবন্দরে করোনার নমুনা দিয়েছিলেন তারা। আর সেই রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে।
নেগেটিভ আসায়, অনুশীলনে নামছে বাংলাদেশ। একমাত্র টেস্টের দিকে নজর তাদের। আগামী ৭ জুলাই থেকে শুরু হবে সিরিজের একমাত্র টেস্ট।
টেস্ট ম্যাচের আগে দু’দিনের প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। যা তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বড় সংস্করণের ম্যাচের জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নেই তাদের। দেশ ছাড়ার আগে দলের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে ম্যাচ খেলেছে ক্রিকেটাররা।
দলের অধিনায়ক মমিনুল হক বলেছিলেন, টেস্ট ম্যাচের জন্য ভালো প্রস্তুতি নেই। তবে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী।
টেস্ট ফরম্যাটে এখনও ধারাবাহিক হতে পারেনি বাংলাদেশ।
তবে ২০১৪ সাল থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ছয়টি টেস্ট খেলেছে টাইগাররা। হেরেছে মাত্র একটিতে। তাই এই ফরম্যাটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করার সামর্থ্য রাখে তারা। কিন্তু শেষ ছয়টি ম্যাচ নিজেদের কন্ডিশনেই খেলেছে বাংলাদেশ।
তবে জিম্বাবুয়ের মাটিতে ৭ ম্যাচ খেলে মাত্র একটি করে জয় ও ড্রয়ের স্বাদ নিয়েছে বাংলাদেশ। ৫টি ম্যাচ হেরেছে তারা। ২০১৩ সালে একমাত্র জয়ের স্বাদ পায় টাইগাররা।
সর্বশেষ সফরে, দুই ম্যাচের টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করে বাংলাদেশ। তবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারে টাইগাররা।
১৬ জুলাই থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। পরের দু’টি ওয়ানডে ম্যাচ ১৮ ও ২০ জুলাই। ওয়ানডে শেষে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। ২৩, ২৫ ও ২৭ জুলাই হবে টি-টুয়েন্টি সিরিজের ম্যাচ।