প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৮ রানে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) শিরোপা জিতে নিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। শনিবারের ম্যাচে আবাহনীর দেওয়া ১৫১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৪২ রানে থামে প্রাইম ব্যাংকের ইনিংস।
রাউন্ড রবিন ও সুপার লিগ মিলিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিল আবাহনী ও প্রাইম ব্যাংক। দুই দলের পয়েন্টই ছিল সমান ২২। যার ফলে শনিবারের ম্যাচটি কার্যত হয়ে দাঁড়ায় শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল।
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আবাহনী অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন।
ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই মুস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট হন মোহাম্মদ নাইম। পাওয়ার প্লে-তে আরও দুই উইকেট হারায় আবাহনী।
দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে মুনিম শাহরিয়ারকে ৩ রানে ফেরান রুবেল হোসেন। আর পঞ্চম ওভারে নাহিদুল ইসলামের বলে আউট হন আগ্রাসীভাবে শুরু করা লিটন দাস। ১৩ বলে ১৯ রান করে আউট হন ওয়ান ডাউনে নামা লিটন।
৩১ রানে তিন উইকেট হারান আবাহনীর হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক। চতুর্থ উইকেটে তারা গড়েন ৭০ রানের জুটি।
১৫ তম ওভারে রুবেল মিয়ার বলে ৪৫ রান করে ফেরেন শান্ত। মোসাদ্দেক ৪০ রান করে আউট হন ১৯তম ওভারের প্রথম বলে। রুবেল হোসেনের দ্বিতীয় শিকার ছিলেন তিনি।
আবাহনীর হয়ে ব্যাটিংয়ে মোসাদ্দেক। ছবি: আবাহনী
শেষ দিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ১৩ বলে ২১ রানের ক্যামিওতে দেড় শ রান ছুঁয়ে ফেলে আবাহনী। নির্ধারিত ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় সাত উইকেটে ১৫০।
প্রাইম ব্যাংকের হয়ে দুই উইকেট নেন রুবেল হোসেন। একটি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজ, নাহিদুল, রুবেল মিয়া ও শরিফুল ইসলাম।
জবাবে, সাইফউদ্দিন ও মেহেদী রানার সিম বোলিংয়ে ধসে পড়ে প্রাইম ব্যাংকের ইনিংস। ৬৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে তারা।
দলের হয়ে একা লড়াই করেন রুবেল মিয়া। তার ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। তানজিম হাসানের বলের ১৬তম ওভারে রুবেল বোল্ড হলে শেষ হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংকের জয়ের আশা।
ডেথ ওভারে অলোক কাপালি কাউন্টার অ্যাটাক করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার ১৭ বলে ৩৪ রানের ইনিংসে শুধু পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে পারে প্রাইম ব্যাংক। ৯ উইকেটে ১৪২ রানে থামে তাদের ইনিংস।
২০১৩ সালে লিস্ট এ-মর্যাদা পায় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। তারপর এবারেরটিসহ মোট চারবার শিরোপা জিতেছে আবাহনী।
ঘটনাবহুল ডিপিলের মৌসুমে আবাহনী মাত্র চার ম্যাচ হেরেছে। এর মধ্যে একটি ছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে। ওই ম্যাচেই বাজে আম্পায়ারিংয়ের কারণে মেজাজ হারিয়ে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ও আর্থিক জরিমানা পান মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।