সেইন্ট লুসিয়া টেস্টে সিরিজে সমতা ফেরানোর জন্য নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২৪ রানের লক্ষ্য ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে। সেই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মুখ থুবড়ে পড়ে তাদের ব্যাটিং লাইন আপ। সাউথ আফ্রিকার স্পিনার কেশভ মহারাজ হ্যাটট্রিকসহ পাঁচ উইকেট নিয়ে গুড়িয়ে দেন উইন্ডিজকে।
স্বাগতিক দল ১৬৫ রানে অলআউট হওয়ায় সাউথ আফ্রিকা পায় ১৫৮ রানের জয় আর ২-০ ব্যবধানে নিজেদের করে নেয় সিরিজ।
চতুর্থ দিন সকালে বিনা উইকেটে ১৫ রান নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েইটের উইকেট হারার উইন্ডিজ। ৬ রান করে কাগিসো রাবাডার বলে আউট হন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক।
ওয়ান ডাউনে নামা শেই হোপকে দুই রানে ফিরিয়ে স্বাগতিকদের বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেন রাবাডা।
এরপরই আসে ইনিংসে উইন্ডিজের সবচেয়ে সফল জুটি। তৃতীয় উইকেটে কাইল মায়ার্স ও কিরেন পাওয়েল ৬৪ রান যোগ করেন।
৩৪ রান করা মায়ার্সকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙ্গেন রাবাডা। অন্যপ্রান্তে নিজের সপ্তম টেস্ট ফিফটি তুলে নেন পাওয়েল।
৫১ রান করে মহারাজের বলে আউট হন তিনি। উইন্ডিজ ইনিংসের তখন ৩৭ তম ওভার। তৃতীয় বলে পাওয়েলকে ফেরানোর পরের বলেই জেসন হোল্ডারকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান মহারাজ।
পরের বলে জশুয়া সিলভাকে আউট করে দ্বিতীয় সাউথ আফ্রিকান বোলার হিসেবে টেস্ট ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার অনন্য রেকর্ড গড়েন মহারাজ।
তার আগে জেফ গ্রিফিন ১৯৬০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ প্রোটিয়াদের হয়ে টেস্টে হ্যাটট্রিক করেন।
মহারাজের হ্যাটট্রিকের পর খুব বেশিক্ষণ টেকেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। শেষ দিকে জারমেইন ব্ল্যাকউডের ২৫ ও কিমার রোচের ২৭ রানের ইনিংসে ব্যবধান কমায় উইন্ডিজ।
মহারাজ হ্যাটট্রিকসহ ৩৬ রানে পাঁচ উইকেট নেন। টেস্টে এটি তার সপ্তম ফাইভ-ফর। রাবাডা ৪৪ রানে নেন তিন উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৯৮ রান করে সাউথ আফ্রিকা। তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ ছিল ১৭৪।
আর স্বাগতিক উইন্ডজ দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৫ রানে গুটিয়ে যাওয়ার আগে প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে অলআউট হয়।
দুই টেস্ট জিতে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস ট্রফি নিজেদের কাছেই রেখে দেয় সাউথ আফ্রিকা।
রোববার থেকে শুরু হচ্ছে দুই দলের ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।