জাতীয় দলের পাশাপাশি ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের জন্য একটা শ্যাডো জাতীয় দল গড়ার পরিকল্পনা হাতে নিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দলটির নামও ঠিক করে ফেলা হয়েছে। ‘বাংলাদেশ টাইগার’ নামে নামকরণ করা হয়েছে শ্যাডো জাতীয় দলের।
এ দলের মূল কাজ হবে- জাতীয় দলের খেলোয়াড়ের প্রাথমিক বা তাৎক্ষণিক অভাব পূরণ করা। প্রত্যেক পজিশনের ক্রিকেটারের বিকল্প থাকবে এই শ্যাডো জাতীয় দলে। প্রয়োজন বোধে জাতীয় মূল দলে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ রাখার জন্য গড়া হবে এই শ্যাডো দল।
মঙ্গলবার বিসিবির সাধারণ সভার বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে রাত আটটার দিকে বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিজেই বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা হয়তো জানেন তারপরেও বলে দিচ্ছি, জাতীয় দলে যারা যাক পায়, তারা যদি উদাহরণ হিসেবে ধরেন না পায়, কখনও ইমরুল পায় নাই, সৌম্য থাকে না স্কোয়াডে, ওরা নাকি অনুশীলন করারও সুযোগ পায় না এখানে। আমাদের ফ্যাসিলিটিগুলা নাকি পায় না। এটা তো একটা বড় প্রবলেম। ওরা কোথায় প্রাকটিস করবে।
‘তাদের যদি কোনো ঘাটতি থাকে, কেউ যদি ড্রপ হয় তাহলে ও শিখবে কোথায়? এইটা একটা ইস্যু ছিল।
জাতীয় দলের প্রধান কোচের সমন্বয়ে বছরব্যাপী চলবে শ্যাডো জাতীয় দলের প্রশিক্ষণ।
পাপনের কথায় তা স্পষ্ট, ‘এখান থেকেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সারাবছর রাউন্ড দ্য ক্লোক এখানে ট্রেনিং চলবে। ব্যাসিক্যালি স্থানীয় কোচদের নিয়ে এই প্রশিক্ষণ চলবে। হেড কোচের নির্দেশনা অনুযায়ী এটা চলবে।’
এই শ্যাডো দল থেকে কীভাবে জাতীয় দলে সুযোগ পাবে কোনো খেলোয়াড়ও উদাহরণ দিয়ে তার ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেন বিসিবি সভাপতি।
পাপন বলেন, ‘ধরেন ওপেনিংয়ে একটা প্লেয়ার সুযোগ পেল। সে খেলবে না বা ইনজুরিতে বা কোনো কারণে নাই। তখন আমরা একেকদিন একেকজনকে ট্রাই করি। আজকে একে করি কালকে ওকে করি। আমাদের যদি রেডিমেড থাকতো। যদি দরকার হয় জাতীয় দলে তাহলে কে যাবে? কে কোন পজিশনে ওভাবে চিহ্নিত করে কোচ ট্রেনিং করা হবে।’