ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে মেজাজ হারিয়ে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। তিন ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা পাওয়ায় রাউন্ড রবিনের শেষ ম্যাচে খেলতে পারছেন তিনি।
মোহামেডান যদি তাকে ছাড়াই তিন ম্যাচ জিতে সুপার লিগে কোয়ালিফাই করে সেক্ষেত্রে সাকিবের সুপার লিগে খেলাও হবে। ১১ রাউন্ড পর নির্ধারিত হবে সুপার লিগের সেরা ছয় দল।ক্রিকেট মাঠে নিষেধাজ্ঞা সাকিবের জন্য নতুন নয়। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিলিয়ে এর আগে মোট তিনবার নিষিদ্ধ হয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।২০১৪ সালে তিন ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা
২০১৪ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে চলার সময় টিভি ক্যামেরায় অশালীন অঙ্গভঙ্গি করে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ হন সাকিব। এই তিন ম্যাচ ছিল শ্রীলংকা, ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। শেষ দুটি ম্যাচ ২০১৪ এশিয়া কাপের।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১৪ এশিয়া কাপে ব্যাটিংয়ে সাকিব। ফাইল ছবিতিন ম্যাচেই হেরে যায় বাংলাদেশ। এমনকি তখন নবাগত আফগানিস্তানের কাছেও। আর নম্বর ম্যাচে ফেরেন সাকিব। তারপরও হারে বাংলাদেশ। ফেরার ম্যাচে সাকিব পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেন ১৬ বলে ৪৪ রানের ইনিংস। ২০১৪ সালের আরও একবার ছয়মাসের নিষিধাজ্ঞাবাংলাদেশ হেড কোচ চণ্ডিকা হাতুড়ুসিংহের সঙ্গে বাজে ব্যবহারের জন্য সাকিবকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নিষিদ্ধ করে ছয় মাসের জন্য। সাকিবের নিষেধাজ্ঞার পর প্রথম সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যায় বাংলাদেশ।সিরিজে দুই টেস্টেই হারে সাকিববিহীন বাংলাদেশ। ওয়ানডে জেতে একটি। সিরিজের পর সাকিবের নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে আনা হয় তিন মাসে। সাকিব ফেরেন জিম্বাবুয়ে সিরিজে।
২০১৯ সালে আইসিসির এক বছরের নিষেধাজ্ঞা
২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর জুয়ারির সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য গোপন করা এক বছরের স্থগিতাদেশ সহ সাকিবকে দুই বছরের জন্য সকল ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে আইসিসি।তার নিষিদ্ধ হওয়ার পর ভারতে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ খেলতে যায় বাংলাদেশ। দিল্লির প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সাত উইকেটের সহজ জয় পায় বাংলাদেশ। সাকিবের নিষিদ্ধাবস্থায় বাংলাদেশের প্রথম জয়। বাকি দুই ম্যাচ হেরে হারতে হয় সিরিজ।টেস্টে ছিল পুরো উল্টো ছবি। সাকিবের জায়গায় অধিনায়কত্ব পাওয়া মুমিনুল হকের অধীনে দুই টেস্টই বাংলাদেশ হারে ইনিংস ব্যবধানে। দুটি ম্যাচই শেষ হয় তিন দিনে।
২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বল করছেন সাকিব। ফাইল ছবিফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সফরের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়লেও দ্বিতীয় ম্যাচে পারেনি বাংলাদেশ। দুই ম্যাচই জিতে নেয় স্বাগতিক দল। বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয় তৃতীয় ম্যাচ।জিম্বাবুয়েকে ঘরের মাঠে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন একমাত্র টেস্ট জিতে নেয় বাংলাদেশ।