সাধারণত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ওপেনার হিসেবে খেলেন না তিনি। বরঞ্চ মিডল অর্ডারে খেলেন। শেষ তিন বছরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ইনিংস সূচনা করেছেন মাত্র দুবার।
সেই ডেভন কনওয়ের টেস্ট অভিষেকই ওপেনার হিসেবে। লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আর সে ইনিংসেই বাজিমাত তার।
রেকর্ড গড়া এক ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন এ বাঁহাতি ব্যাটার। আর তাতে ভর করে নিউজিল্যান্ড স্কোরবোর্ডে তুলেছে ৩৭৮।
জবাবে দুই উইকেট হারালেও পরে ররি বার্নস ও অধিনায়ক জো রুটের ব্যাটে ২ উইকেটে ১১১ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে স্বাগতিকরা। নিউজল্যান্ডের চেয়ে এখনও তারা পিছিয়ে ২৬৭ রানে।
২৪৬ রান তুলে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে প্রথম দিন শেষ করে ব্ল্যাকক্যাপস। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে হেনরি নিকোলস ৬১ রানে ফিরে যাওয়ার পর ধস নামে তাদের ব্যাটিংয়ে।
মাত্র ছয় রানে চার উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ বড় করার পথে বড় ধাক্কা খায় সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নিয়ে তাদের ৩৭৮ রানে নিয়ে যান কনওয়ে।
সেটি করতে করতে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিকে ডাবলে রূপ দেন। ২০০তে পৌঁছান ছয় মেরে। লর্ডসে অভিষেক ইনিংসে এটিই সর্বোচ্চ স্কোর। ঠিক ২০০ রানে যখন শেষ উইকেট হিসেবে ফিরছেন, নিউজিল্যান্ডের হয়ে অভিষেক ইনিংসে ম্যাথু সিনক্লেয়ারের পর সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে ফেলেছেন অভিষিক্ত এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
শেষ পর্যন্ত তাকে কোনো বোলার আউট করতে পারেননি, বরং কাটা পড়েছেন রান আউটে। তার আগে করেছেন ৩৪৭ বলে ২০০ রান, মেরেছেন ২২টি চার ও একটি ছয়।
জবাবে ওপেনার ডম সিবলি ও জ্যাক ক্রলিকে শুরুতেই কাইল জেমিসন ও টিম সাউদির কাছে হারায় ইংল্যান্ড। তবে বার্নস ও রুটের ৯৩ রানের অপরাজিত জুটিতে আর কোনো উইকেট না হারিয়েই দিন শেষ করে ইংলিশরা।
বার্নস ৫৯ ও রুট অপরাজিত আছেন ৪২ রানে।