বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদেশের মাটিতে ৩০০-৩৫০ চান ডমিঙ্গো

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩০ মে, ২০২১ ১৫:৪৬

দেশের বাইরে জিততে হলে নির্দিষ্ট কিছু স্কিলে উন্নতি আনতে হবে মনে করেন হেড কোচ। দেশে লো-স্কোরিং ম্যাচ খেলে জেতা সম্ভব হলেও, বাইরে ৩০০-৩৫০ রান করার অভ্যাস গড়তে হবে অভিমত ডমিঙ্গোর।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতে আইসিসি সুপার লিগের শীর্ষেই শুধু ওঠেনি বাংলাদেশ, নিজ মাঠে গত ছয় বছরে ১১টি ওয়ানডে সিরিজের ১০টিতে জয় নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক দল। পরিসংখ্যানের বিচারে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ অন্যতম সেরা ওয়ানডে স্কোয়াড। বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো চান বিদেশের মাটিতেও বজায় থাকুক এমন ফর্ম।ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ডমিঙ্গো বলেন বিদেশের মাটিতে জয়ের মানসিকতাটা জরুরী।‘এই দলটার জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ বিদেশের মাটিতে ভিন্ন কন্ডিশনে জেতা। বাংলাদেশ দলটা খুবই ভালো। দেশের বাইরে কয়েকটা বড় ম্যাচ জিততে হবে। বিদেশের মাটিতে জেতার আত্মবিশ্বাস চলে আসলে দল মানসিক ভাবে আরও ভালো অবস্থানে থাকবে।’দেশের বাইরে জিততে হলে নির্দিষ্ট কিছু স্কিলে উন্নতি আনতে হবে মনে করেন হেড কোচ। দেশে লো-স্কোরিং ম্যাচ খেলে জেতা সম্ভব হলেও, দেশের বাইরে ৩০০-৩৫০ রান করার অভ্যাস থাকতে হবে।‘ঢাকার উইকেটে কতো রান হচ্ছে সেটা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। উইকেট যেমন তার চেয়ে বেশি রান করা সম্ভব নয়। খুব বেশি দল ঢাকায় ৩০০ রান করতে পারেনি। কিন্তু দেশের বাইরে খেলার সময় ২৩০-২৪০ রান ম্যাচ জেতাবে না। আমাদের নিজেদের চ্যালেঞ্জ করতে হবে। আক্রমণাত্মক খেলে ৩০০-৩৫০ করতে হবে। এটাই আধুনিক ক্রিকেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’দেশে কিংবা বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশ গত দেড় দশক নির্ভরশীল হাতেগোণা কয়েকজনের ওপর। ঘুরে ফিরে তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম রান করেন ও ম্যাচ জেতাতে বড় ভূমিকা রাখেন।

দলে সাব্বির রহমান, লিটন দাস, সৌম্য সরকারদের মতো তরুণদের উপর দায়িত্ব দেয়া হলেও তারা সেই ভার নিতে পারেননি। বাজে পারফর্মমেন্সের পর সাব্বির ছিটকে গেছেন জাতীয় দলের রাডার থেকে। জাতীয় দলের জার্সিতে থাকলেও ধুঁকছেন লিটন ও সৌম্য। নাঈম শেখ, আফিফ হোসেনরা সুযোগ পেলেও জ্বলে উঠছেন খুব কম ম্যাচেই।তরুণদের কাছ থেকে আরও ধারাবাহিক পারফর্ম্যান্স আশা করেন ডমিঙ্গো। কিন্তু তাদের উপর চাপ দিতে নারাজ এই সাউথ আফ্রিকান কোচ।‘তরুণরা ইতিবাচক ঝলক দেখিয়েছে কিন্তু তারা ধারাবাহিক হলে আরও ভালো লাগত। আফিফের মতো একজন ব্যাটসম্যান মাত্র তিন-চারটি ওয়ানডে খেলেছে। তাতে ওকে বিচার করা খুবই কঠিন। তাদেরকে নিয়ে আরও ধৈর্য্য ধরতে হবে। তারা সিনিয়রদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে। তাদেরকে চাপে রাখতে চাইনা আমি। এই পর্যায়ে সবাই প্রতিষ্ঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে।’সাকিব-মুশফিকরাও ক্যারিয়ায়ের শুরুতে ধাতস্ত হওয়ার সময় পেয়েছেন উল্লেখ করে ডমিঙ্গো বলেন বিশ্বের সব সেরা দল তাদের সিনিয়রদের ওপর নির্ভর করে।‘সবদলই পারফর্ম্যান্সের জন্য সিনিয়র খেলোয়াড়দের উপর নির্ভর করে। ভারতের রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান ও ভিরাট কোহলি আছে। ইংল্যান্ডের আছে রুট, বাটলার ও স্টোকস। এরা সবাই বড় খেলোয়াড়। সিনিয়রদের ওপরই দায়িত্ব বর্তায়।

‘যদি তামিম, মুশফিক ও সাকিবের মতো বড় খেলোয়াড়ের উদাহরণ নেই তাহলে দেখব যে তাদেরও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্থির হতে সময় লেগেছে। ঢাকার উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য সহজ নয়। নিজেদের কন্ডিশনে কীভাবে খেলতে হবে সেটা খুঁজে পেতে সাকিব-মুশফিকদের কিছুটা সময় লেগেছে।’তরুণদের মধ্যে মেহেদী মিরাজের প্রশংসা ঝড়েছে ডমিঙ্গোর কণ্ঠে। কোচের চোখে মিরাজ দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ এক ক্রিকেটার।‘মেহেদীর জন্য আমি খুবই খুশি। তার ধারাবাহিকতার পুরস্কার পাচ্ছে সে। দলের জন্য সে খুবই ভালো। সারাক্ষণ হাসিমুখে থাকে। দলকে ভালো জায়গায় নিতে সবকিছুই সে করতে প্রস্তুত।’কাল থেকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের লড়াইয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন টাইগাররা। জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ে সফরের আগে আপাতত ডমিঙ্গোর ব্যস্ততা কম। আইসিসি সুপার লিগে ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান, সাউথ আফ্রিকা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ বাকি আছে বাংলাদেশের।

এ বিভাগের আরো খবর