শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। বরাবরের মতো, এ সিরিজেও বাংলাদেশ দলের নিয়মিত পারফর্মার ছিলেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররাই।
তিন ম্যাচে ২৩৭ রান করে সিরিজ সেরার পুরষ্কার জিতে নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ পেয়েছেন দুটি ফিফটি। একটি ফিফটি করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
এই সিরিজেও ব্যর্থ ছিলেন লিটন দাস। প্রথম দুই ম্যাচে ভালো না করার পর তৃতীয় ম্যাচে তার জায়গা নেন নাইম শেখ। নাইম তৃতীয় ম্যাচে আউট হয়েছেন মাত্র এক রানে।
এমন অবস্থায় ম্যাচশেষে অধিনায়ক তামিমকে প্রশ্ন করা হয়, সিনিয়রদের ওপর এমন নির্ভরতা দুশ্চিন্তার কি না। উত্তরে তামিম জানান, দুশ্চিন্তার হলেও, তরুণ ক্রিকেটারদের সমালোচনা করতে তিনি রাজি নন।
‘সিনিয়রদের ওপর নির্ভরতা দুশ্চিন্তার, কিন্তু আমি সবসময়ই তরুণদের উপর ভরসা রাখি। তাদের দিকে আঙুল তুলি না কারণ আমি জানি তারা কতটা পরিশ্রম করে। তারা পারফর্ম করলে দল হিসেবে আরও ভাল হব। কিন্তু সমালোচনা করা সব সময়ই সহজ। আমি এমন কেউ নই যে নিজেদের খেলোয়াড়দের সমালোচনা করবে,’ বলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের ভাগ্যে জুটেছে ৯৭ রানের বড় হার। প্রথমে ব্যাট করে অধিনায়ক কুশল পেরেরার ১২০ রানের ইনিংসে ভর করে ২৮৬ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। অবশ্য পেরেরা আউট হতে পারতেন আগেই। যদি না তার তিনটি ক্যাচ ফেলতেন বাংলাদেশি ফিল্ডাররা।
তামিম মানছেন, এই সিরিজে নিখুঁত ম্যাচ খেলতে পারেননি তারা। উন্নতির জায়গাও দেখছেন তিনি।
‘গত ম্যাচের পর এবং এ ম্যাচের শুরুতে আমি যেমনটা বলেছিলাম, আমরা সিরিজ জিতেছি কিন্তু একবারও নিখুঁত ম্যাচ খেলিনি। এই সিরিজে আমাদের সম্ভাবনার পুরোটা দিয়ে খেলতে পারিনি। সিরিজ জেতার পর আমি বলতে পারি যে আমাদের কাজ করার মতো কিছু জায়গা আছে,’ বলেন তামিম।
তিনি যোগ করেন, শ্রীলঙ্কাকে তৃতীয় ম্যাচ জিততে সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ। বলেন, ‘ওরা (শ্রীলঙ্কা) আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়ে এ ম্যাচে এসেছিল এবং আমরা তাদের সেটি করতে সাহায্য করেছি। বেশি শর্ট বল করেছি। আমাদের সুযোগগুলো নেইনি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুটি ক্যাচ ফেলেছি।’