‘শেষ ভালো যার, সব ভালো তার।’
এই আপ্তবাক্যে আপাতত শান্তি খুঁজে নিতেই পারে শ্রীলঙ্কা দল। সিরিজ হারলেও শেষ ম্যাচে ৯৭ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে তারা.
বিশ্ব সুপার লিগ থাকায়, কেবল স্বান্তনা নয় জয়ে ১০ পয়েন্ট পাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। আর সিরিজ জিতলেও, বাংলাদেশের আক্ষেপ হয়ে থাকবে নিজ মাঠে পূর্ণ ৩০ পয়েন্ট নেয়ার ব্যর্থতা।
এই ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পাচ্ছে না, তার লক্ষণ ছিল শুরু থেকেই। শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক কুশল পেরেরা ও দানুশকা গুনাথিলাকার ৬৮ বলের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮২ রান।
এরপর তাসকিন আহমেদের তিন উইকেটে কিছুটা হলেও ম্যাচে ফিরেছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার সুযোগ ছিল। ফিল্ডারদের পিছলে হাত সেটি হতে দেয়নি।
তিন তিন বার পেরেরার ক্যাচ ফেলেছে বাংলাদেশ ফিল্ডাররা। প্রথম দুটিই সাকিব আল হাসানের বলে। দুটিই কঠিন সুযোগ।
তৃতীয়টি আসে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে। যখন পেরেরা ৯৯ রানে। কাটারে বিভ্রান্ত হয়ে সহজ ক্যাচ উঠিয়ে দেন পেরেরা। সহজ সুযোগ নিতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিন জীবন পেয়ে সেঞ্চুরি পেরেরা তুলে নেন ৯৯ বলে।
শেষ পর্যন্ত মাহমুদুল্লাহর ক্যাচ হয়েই ১২০ রানেই ফেরেন পেরেরা। ততক্ষণে তার দল পেয়ে গেছে বড় রানের ভিত্তি।
শেষ ১০ ওভারে তাদের ভালোই আটকে রাখে বাংলাদেশ বোলাররা। সেই সময়ে মাত্র ৬৯ রান নিতে পারে লঙ্কানরা। ইনিংস শেষ করে ২৮৬ রানে।
বাংলাদেশের সেরা বোলার ছিলেন তাসকিন। ৪৬ রানে তিনি তুলে নেন ৪ উইকেট।
২৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুষ্মন্ত চামিরার গতির সামনেই উড়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। ৯ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৬ রান দিয়ে এ পেসার তুলে নেন পাঁচ উইকেট। যার তিনটিই তুলে নেন প্রথম স্পেলে।
একে একে ফেরান নাইম শেখ, সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে। বাকিটা সময়ে কেবল ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল।
ফিফটি তুলে নিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন ও মাহমুদুল্লাহ, কিন্তু তা দলকে জয়ের কাছে নিয়েছে যতটা, তার চেয়ে বেশি কমিয়েছে হারের ব্যবধান।
ফিফটি তুলে নেয়ার পরের বলেই স্কুপ করতে গিয়ে শেষ উইকেট হিসেবে বিদায় নেন মাহমুদুল্লাহ। তাতে নিশ্চিত হয়, ১৮৯ রানে গুটিয়ে গিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচ হারে ৯৭ রানে।
পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন দুষ্মন্ত চামিরা। আর পুরো সিরিজে ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতার জন্য সিরিজ সেরার পুরস্কার পান মুশফিকুর রহিম।
সংক্ষিপ্ত স্কোরশ্রীলঙ্কা: ২৮৬/৬, ৫০ ওভার (পেরেরা ১২০, ধনঞ্জয় ৫৫*, তাসকিন ৪/৪৬, শরিফুল ১/৫৬)
বাংলাদেশ: ১৮৯/১০, ৪২.৩ ওভার (মাহমুদুল্লাহ ৫৩, মোসাদ্দেক ৫১, চামিরা ৫/১৬, রমেশ ২/৪০)