আগের ম্যাচে একাদশে জায়গা হয়নি। তবে পরে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের কনকাশনে সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু উইকেট পাননি। তৃতীয় ম্যাচে অবশ্য তেমনটা আর হলো না তাসকিন আহমেদের জন্য। দারুণ বোলিং করে ৪৬ রানে তুলে নিলেন ৪ উইকেট। তাতে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে আটকে দিল ৬ উইকেটে ২৮৬ রানে। সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিততে টাইগারদের লক্ষ্য তাই ২৮৭।টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিল সফরকারীরা। দুই ওপেনার কুশল পেরেরা ও দানুশকা গুনাথিলাকা মিলে ১১ ওভারেই তুলে ফেলেছিলেন ৭৯ রান।১২তম ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড করেন গুনাথিলাকাকে। শেষ বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান পাথুম নিসাঙ্কাকে।তাতে তৃতীয় দ্রুততম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ৫০ উইকেট তুলে নেন তাসকিন। উইকেটের হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করতে তাসকিনের লেগেছে ৩৯ ম্যাচ।এরপর তৃতীয় উইকেট হিসেবে কুশল মেন্ডিসকেও ফেরান তাসকিন। অন্য প্রান্তে অবশ্য অটল থেকে সেঞ্চুরি তুলে নেন পেরেরা। কিন্তু তাতে আছে বাংলাদেশ ফিল্ডারদের অবদান।প্রথম বার পেরেরা জীবন পান ৬৬ রানে। সাকিব আল হাসানের বলে রিভার্স সুইপ খেলায় উঠে গিয়েছিল ক্যাচ। শর্ট থার্ড ম্যানে সেই ক্যাচে কেবল এক হাত লাগাতে পেরেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।পরের জীবন ৭৯ রানে, আবারও সাকিবের বলে। স্টেপ ডাউন করে সাকিবকে মারতে গিয়ে শূন্যে বল ভাসান পেরেরা। আফিফ হোসেন পেছনের দিকে দৌড়ে ধরতে পারেননি ক্যাচ।শেষ বার জীবন পান ৯৯ রানে। মুস্তাফিজের দুর্দান্ত কাটারে বিভ্রান্ত হয়ে মিড অফে ক্যাচ তুলে নিয়েছিলেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সহজ ক্যাচ ধরতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার পরের বলেই সিঙ্গেল নিয়ে ৯৯ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন লঙ্কান অধিনায়ক।শেষ পর্যন্ত অবশ্য মাহমুদুল্লাহর ক্যাচ হয়েই ফেরেন কুশল। শরিফুল ইসলামের বলে যখন মিড অফে ক্যাচ হয়ে ফেরেন লঙ্কান অধিনায়ক, তার আগে করে ফেলেছেন ১২২ বলে ১২০। তাতে ১১ চারের সঙ্গে ছিল ১টি ছয়।পেরেরার গড়ে দেয়া ভিত্তি অবশ্য কাজে লাগাতে পারেনি লঙ্কানরা। শেষদিকে ফিফটি তুলে নিয়েছেন ধনঞ্জয় ডি সিলভা, কিন্তু শেষ ১০ ওভার কাজে লাগাতে পারেননি তারা।বাংলাদেশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাত্র ৬৯ রান নিতে পারে তারা, হারায় দুই উইকেট। সেটিও হতো না, যদি না শেষ ওভারে ১৮ রান দিতেন শরিফুল। শেষ পর্যন্ত ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন ধনঞ্জয়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা: ২৮৬/৬, ৫০ ওভার (পেরেরা ১২০, ধনঞ্জয় ৫৫*, গুনাথিলাকা ৩৯, তাসকিন ৪/৪৬, শরিফুল ১/৫৬)