আগের দুই ম্যাচে রান পাননি। তৃতীয় ম্যাচে এসে টসে জিতলেন সিরিজে প্রথমবার, তাতে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুশল পেরেরা সিদ্ধান্ত নিলেন ব্যাটিংয়ের।
ব্যাটিংয়ে নেমে এরপর একাই টানলেন সফরকারীদের ইনিংস। ৯৯ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে দলকে পৌঁছে দিয়েছেন শক্ত অবস্থানে।
কিন্তু পেরেরা সেঞ্চুরির জন্য ধন্যবাদ দিতে পারেন বাংলাদেশ ফিল্ডারদেরও। পেরেরার ৬৬, ৭৯ ও ৯৯ রানে তিনটি ক্যাচ ছেড়েছেন বাংলাদেশি ফিল্ডাররা।
প্রথম বার পেরেরা জীবন পান ৬৬ রানে। সাকিব আল হাসানের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়েছিলেন পেরেরা, উঠে গিয়েছিল ক্যাচ। শর্ট থার্ড ম্যানে সেই ক্যাচে কেবল এক হাত লাগাতে পেরেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।
পরের জীবন ৭৯ রানে, আবারও সাকিবের বলে। স্টেপ ডাউন করে সাকিবকে মারতে গিয়ে শূন্যে বল ভাসান পেরেরা, আফিফ হোসেন পেছনের দিকে দৌড়ে ধরতে পারেননি ক্যাচ।
শেষ বার জীবন পান ৯৯ রানে। মুস্তাফিজের দুর্দান্ত কাটারে বিভ্রান্ত হয়ে মিড অফে ক্যাচ তুলে নিয়েছিলেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, কিন্তু সেই সহজ ক্যাচ ধরতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তার পরের বলেই সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেন লঙ্কান অধিনায়ক।
সেঞ্চুরির পর আরও বিশ রান যোগ করেন তিনি। ইনিংসের ৪০তম ওভারে শরীফুলকে মারতে চেয়ে ডিপ মিড অফে মাহমুদুল্লাহর হাতে ধরা পড়েন তিনি। ১২২ বলে ১২০ রান করে আউট হন পেরেরা। ১১টী চার ও এক ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস।
তার বিদায়ে পর শ্রীলঙ্কার স্কোর ৪০ ওভার শেষে চার উইকেটে ২১৮।
এর আগে শুরুটা দুর্দান্ত করে সফরকারীরা। দুই ওপেনার কুশল পেরেরা ও দানুশকা গুনাথিলাকা মিলে ১১ ওভারেই তুলে ফেলেন ৭৯ রান।
১২তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। ওভারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড করেন গুনাথিলাকাকে। শেষ বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান পাথুম নিসাঙ্কাকে।
তাতে তৃতীয় দ্রুততম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ৫০ উইকেট তুলে নেন তাসকিন। উইকেটের হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করতে তাসকিনের লেগেছে ৩৯ ম্যাচ।
এরপর তৃতীয় উইকেট আসে ২৬তম ওভারে। তাসকিনের বলে পুল করতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লাগে কুশল মেন্ডিসের, মিড অফে সহজ ক্যাচ নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
তৃতীয় ওয়ানডেতে একাদশে দুটি পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। লিটন দাসের বদলে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন নাইম শেখ। দ্বিতীয় ম্যাচে মাথায় আঘাত পাওয়া মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বদলে একাদশে এসেছেন তাসকিন আহমেদ।
একাদশে চারটি পরিবর্তন এনেছে শ্রীলঙ্কা। ওয়ানডে অভিষেক হচ্ছে রমেশ মেন্ডিস, চামিকা করুনারত্নে ও বিনুরা ফার্নান্দোর। এছাড়া একাদশে এসেছেন নিরোশান ডিকওয়েলা। বাদ পড়েছেন ইসুরুর উদানা, আশেন বান্দারা, লাকশান সান্দাকান ও দাসুন শানাকা।