আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচ শুরু হচ্ছে ১৮ জুন। ইংল্যন্ডের সাউদ্যাম্পটনে শিরোপা লড়াইয়ে নামবে নিউজিল্যান্ড ও ভারত। ম্যাচ ড্র হলে দুই দলকেই যৌথ বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। রিজার্ভ ডেতে খেলা গড়াবে না ম্যাচ।ফাইনাল ম্যাচের জন্য রিজার্ভ ডে রাখা হলেও সেটি শুধুমাত্র ব্যবহার করা হবে যদি টেস্টের দৈনিক ওভার ঘাটতি পাঁচ দিনে পূরণ না করা যায়। আইসিসি এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করে এই তথ্য।শুক্রবার সকালে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা জানায়, ‘পাঁচদিনের খেলার পর যদি ইতিবাচক ফল না আসে তাহলে ম্যাচ ড্র ঘোষণা করা হবে। বাড়তি একদিন খেলা গড়াবে না। রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে পাঁচদিনের খেলা নিশ্চিত করার জন্য। নিয়মিত দিনে যদি হারানো ওভার শেষ না করা যায় তখনই কেবল এটি ব্যবহৃত হবে। রিজার্ভ ডে ব্যবহার করা হবে কিনা ম্যাচ রেফারি সেই সিদ্ধান্ত নেবেন পঞ্চম দিনের শেষ ঘণ্টায়।’সাম্প্রতিক বদল হওয়া নিয়মগুলোও আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রযোজ্য হবে। আইসিসি তিনটি নতুন নিয়ম প্রনয়ণ করেছে যা চলতি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজ থেকেই কার্যকরী হয়েছে।
নিয়মগুলো হলো:
১. শর্ট রানের ক্ষেত্রে থার্ড আম্পায়ার স্বয়ংক্রিয়ভাবেই রিভিউ করবেন এবং ফিল্ড আম্পায়ারকে পরবর্তী ডেলিভারির আগে তার ফল জানাবেন।
২. এলবিডাব্লিউ সিদ্ধান্ত রিভিউয়ের আগে ফিল্ডিং ক্যাপ্টেন বা আউট হওয়া ব্যাটসম্যান ফিল্ড আম্পায়ারদের সঙ্গে শট খেলা হয়েছে কিনা সেটা নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন।
৩. এলবিডাব্লিউ রিভিউয়ের ক্ষেত্রে আম্পায়ারের স্টাম্পের উচ্চতা ও প্রস্থের কলের জন্য উইকেট জোনের উচ্চতা স্টাম্পের শীর্ষ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
লর্ডসের বদলে মার্চে সাউদ্যাম্পটনকে ফাইনালের ভেন্যু হিসেবে নির্বাচন করে আইসিসি। মূল কারণ ছিল করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে খেলোয়াড়দের বায়ো বাবল নিশ্চিত করা।
সাউদ্যাম্পটন স্টেডিয়ামের ভেতরেই রয়েছে খেলোয়াড়দের থাকার জন্য পাঁচ তারকা হোটেল। যার কারণে আইসিসিকে বায়ো বাবল আয়োজনে বেশি বেগ পেতে হয়নি।