বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লঙ্কাকে হারিয়ে সুপার লিগের শীর্ষে বাংলাদেশ

  •    
  • ২৫ মে, ২০২১ ২২:০৩

বাংলাদেশের দেয়া ২৪৭ রানের টার্গেট বৃষ্টির কারণে শ্রীলঙ্কার জন্য পরিবর্তিত হয়ে দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ২৪৫। তবে নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেটে ১৪১ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। ফলে ১০৩ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। সুপার লিগের শীর্ষে থাকা বাংলাদেশ দলের পয়েন্ট এখন ৫ জয়ে ৫০। ৪০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ইংল্যান্ড।

তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে বৃষ্টি আইনে ১০৩ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এতে করে এক ম্যাচ আগেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে স্বাগতিক দল।বাংলাদেশের দেয়া ২৪৭ রানের টার্গেট বৃষ্টির কারণে শ্রীলঙ্কার জন্য পরিবর্তিত হয়ে দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ২৪৫। তবে নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেটে ১৪১ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। ফলে ১০৩ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। এতে করে যেকোনো ফরম্যাটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতল টাইগাররা।

প্রথম ওয়ানডেতে ভয় দেখিয়েছিলেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেরকম কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারল না লঙ্কানরা।

তাতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কাছে রীতিমত উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা। ডার্কওয়ার্থ-লুইস মেথডের জয় তুলে নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ তো জিতলই বাংলাদেশ, সঙ্গে উঠে গেল বিশ্ব সুপার লিগের শীর্ষস্থানে।

বিশ্ব সুপার লিগের শীর্ষে থাকা বাংলাদেশ দলের পয়েন্ট এখন ৫ জয়ে ৫০। ৪০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ইংল্যান্ড।

প্রথমে ব্যাট করে মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে ২৪৬ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। জবাবে ইনিংসের ৩৮তম ওভারের শেষে বৃষ্টি আসার আগে ৯ উইকেটে ১২৬ তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। বৃষ্টির পর দেখা যায়, তাদের লক্ষ্য ৪০ ওভারে ২৪৫, অর্থাৎ শেষ দুই ওভারে চাই ১১৯!

শেষ পর্যন্ত অবশ্য বৃষ্টির পর আর মাত্র ১৫ রান যোগ করে ১৪১ রানে থামে সফরকারীরা। তাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জেতে বাংলাদেশ।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে এটি নবম জয় বাংলাদেশের। ঘরের মাটিতে ষষ্ঠ।

অথচ টসে জিতে বাংলাদেশ যেরকম শুরু করে, সেটিকে কোনোভাবেই ভালো বলা যায় না। দ্বিতীয় ওভারেই নেই তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। ৭৪ রান তুলতে নেই ৪ উইকেট।

দ্বিতীয় ওভারে উইকেটে আসা মুশফিকুর রহিম আগলে রাখলেন এক প্রান্ত। পঞ্চম উইকেটে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে গড়লেন ৮৭ রানের জুটি। মোহামদ্দ সাইফউদ্দিনের সঙ্গে অষ্টম উইকেট ৪৮ রানের। কঠিন উইকেটে কতটা কার্যকর ইনিংস খেলেছেন মুশফিক, তা বোঝা যায় তার স্ট্রাইক রেটে নজর বোলালে।

৭০ রান পর্যন্ত মুশফিক বাউন্ডারি মেরেছিলেন মাত্র একটি। সে সময় তার স্ট্রাইক রেট ছিল ৭৪।

যতক্ষণে মুশফিক রানের গতি বাড়ানোর দায়িত্বে নেমেছেন, ততক্ষণে দুই বার বৃষ্টি আঘাত করেছে মিরপুরে। প্রথম বার বৃষ্টির সময় মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৮৫ রানে। দ্বিতীয়বার ৯৬ রানে।

শেষ পর্যন্ত অবশ্য নিজের অষ্টম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। শেষ উইকেট হিসেবে ১২৫ রানে যতক্ষণে আউট হন মুশফিক, দল পৌঁছে গেছে চ্যালেঞ্জিং ২৪৬ রানের স্কোরে।

সেই ইনিংসে অবশ্য ঘটে গেছে অন্য ঘটনাও। ৪৭তম ওভারে দুষ্মন্ত চামিরার বাউন্সার গিয়ে আঘাত হানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের হেলমেটে। সেই বলেই রান আউট হয়ে ফেরেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

শ্রীলঙ্কার ইনিংসের আগে জানা যায়, মাথায় বল লাগার পর সাইফউদ্দিনের মধ্যে কনকাশনের লক্ষণ দেখা দেয়ায় তার বদলে তাসকিন আহমেদকে একাদশে নিয়েছে বাংলাদেশ।

এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ তো বটেই, ওয়ানডে ইতিহাসের প্রথম কনকাশন সাবস্টিটিউট বনে যান তাসকিন।

২৪৭ রানের লক্ষ্যে নেমে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি শ্রীলঙ্কা। অভিষিক্ত শরিফুল ইসলাম লঙ্কান অধিনায়ক কুশল পেরেরাকে তামিম ইকবালের দারুণ ক্যাচ বানিয়ে ফেরানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে দানুশকা গুনাথিলাকা ও পাথুম নিসাঙ্কা মিলে ৫১ বলে গড়েন ২৯ রানের জুটি। পুরো ইনিংসে তাদের জুটিটিই সর্বোচ্চ। এটিই বুঝিয়ে দেয় লঙ্কান ব্যাটিংয়ের দুরবস্থা।

৩৮তম ওভার শেষ যতক্ষণে বৃষ্টি এসেছে, ততক্ষণে ১২৬ রান তুলতে ৯ উইকেট হারিয়েছে সফরকারী দল। শরিফুলের আঘাতের পর তিনটি করে উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদি হাসান মিরাজ। দুটি উইকেট তুলে নেন সাকিব।

বৃষ্টির কারণে প্রায় ৪০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার পর শ্রীলঙ্কার লক্ষ্য বদলে দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ২৪৫। অর্থাৎ, শেষ দুই ওভারে লঙ্কানদের চাওয়া ছিল ১১৯।

শেষ পর্যন্ত অবশ্য আর অল আউট হয়নি শ্রীলঙ্কা। ইসুরু উদানার দুই ছয়ের কল্যাণে শেষ দুই ওভারে ১৫ রান নেয় শ্রীলঙ্কা। ইনিংস শেষ করে ৯ উইকেটে ১৪১ রানে।

তাতে ১০৩ রানের জয়ের ২০১৫ সালের শুরু থেকে ঘরের মাটিতে খেলা ১১টি সিরিজের ১০টিতেই জয় তুলে নিল টাইগাররা। সব মিলিয়ে এটি টাইগারদের ২৬তম সিরিজ জয়।

অনবদ্য ১২৫ রানের ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন মুশফিকুর রহিম।শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। ওয়ানডে সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম, কোচিং স্টাফ ও ম্যানেজমেন্ট সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। টাইগারদের জয়ের এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অভিনন্দন জানিয়েছেন তামিম-মুশফিকদের। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচ ও ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।

এ বিভাগের আরো খবর