শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কখনও দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জেতেনি বাংলাদেশ। দীর্ঘ সেই রেকর্ড পাল্টানোর একেবারে কাছে টাইগাররা। বাংলাদেশের দেয়া ২৪৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং ধসের শিকার হয়েছে শ্রীলঙ্কা।৩৬ ওভার দুই বলের মধ্যেই লঙ্কানদের নয় উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজ-সাকিবরা। তবে সিরিজ জয়ের উৎসব শুরু করতে পারেনি স্বাগতিক দল।
৩৮ ওভার শেষেই নামে বৃষ্টি। লঙ্কানদের সংগ্রহ তখন নয় উইকেটে ১২৬। রাত ৯টা ৪০-এ ম্যাচের কাট অফ টাইম। ওই সময়ের মধ্যে খেলা শুরু করা না হলে বৃষ্টি আইনে নির্ধারিত হবে ম্যাচের ফল। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত।কারণ ডি/এল হিসাবে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধের সময় শ্রীলঙ্কার জয়ের জন্য দরকার ২৩৪ রান। শ্রীলঙ্কা এর চেয়ে পিছিয়ে ১০৮ রানে। অর্থাৎ কাট অফ টাইমের আগে ম্যাচ শুরু না হলে বাংলাদেশ জিতবে ১০৮ রানে। এর আগে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময়ও দুই বার বাধা দেয় বৃষ্টি। তবে কোনো ওভার কমানো হয়নি।
সাইক্লোন ইয়াসের প্রভাবে সকাল থেকেই ঢাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। যার কারণে সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে বিলম্ব হচ্ছে তামিম-মুশফিকদের।
মিরপুরের উইকেট এই মুহুর্তে ঢেকে রাখা হয়েছে।
এর আগে ২৪৭ রানের টার্গেটে বৃষ্টিভেজা উইকেটে সাবধানে শুরু করেন দুই লঙ্কান ওপেনার কুশল পেরেরা ও দানুস্কা গুনাতিলাকা। প্রথম পাঁচ ওভারে কোনো উইকেট হারাননি লঙ্কানরা।
ষষ্ঠ ওভারে অভিষিক্ত পেইসার শরিফুল বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন। তরুণ এই পেইসারকে উড়িয়ে মারতে যেয়ে মিড অনে তামিম ইকবালের হাতে ধরা পড়েন পেরেরা। ১৫ বলে ১৪ রান করা লঙ্কান অধিনায়ককে ফিরিয়ে নিজের প্রথম ওয়ানডে উইকেট পান শরিফুল।
ওয়ান ডাউনে নামা পাথুম নিসাঙ্কার সঙ্গে উইকেটে সেট হওয়ার চেষ্টা করেন গুনাতিলাকা। আট ওভার টেকে তাদের জুটি।
১৪তম ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে ডিপ পয়েন্টে ধরা পড়েন এই লঙ্কান ওপেনার। ৪৬ বল খেলে ২৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
সেট হওয়া নিসাঙ্কাকে ফেরায় তামিম-সাকিব জুটি। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সাকিব আল হাসানের বলে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দেন ২০ রান করা নিসাঙ্কা।
এরপর কুশাল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন মেহেদী মিরাজ। ১৫ রান করা মেন্ডিস এলবিডাব্লিউ হন।
মেন্ডিসের পরে ব্যাট করতে নামা ধনঞ্জয়া ডি সিলভাও এলবিডাব্লিউ হন। ২৫তম ওভারের চার নম্বর বলে তাকে ১০ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান সাকিব।
এরপর দাসুন শানাকা ও আগের ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ানো ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে আউট করেন মিরাজ। শানাকার ব্যাট থেকে আসে ১১। আর হাসারাঙ্গা ছয় রান করে বোল্ড হন এই অফ স্পিনারের বলে।
এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াইয়ের চেষ্টা করেন আসেন বান্দারা। ১৫ রানে তার প্রচেষ্টার সমাপ্তি টানেন মুস্তাফিজ। ৩১ বল খেলেন তিনি।
আর চার রান করা লাকশান সান্দাকানকে আউট করে বাংলাদেশকে জয়ের একেবারে কাছে নিয়ে আসেন মুস্তাফিজ। তারপরই বাধ সাধে বেরসিক বৃষ্টি।
এর আগে, মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য সেঞ্চুরির পরও ২৪৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। বৃষ্টিবিঘ্নিত ইনিংসে ৪৮ ওভার এক বলে গুটিয়ে যায় স্বাগতিক দল।