শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কখনও দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জেতেনি বাংলাদেশ। দীর্ঘ সেই রেকর্ড পাল্টানোর একেবারে কাছে টাইগাররা। বাংলাদেশের দেয়া ২৪৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং ধসের শিকার হয়েছে শ্রীলঙ্কা। ৩৫ ওভার শেষে লঙ্কানদের সংগ্রহ আট উইকেটে ১১৬ রান।
বৃষ্টিভেজা উইকেটে সাবধানে শুরু করেন দুই লঙ্কান ওপেনার কুশল পেরেরা ও দানুস্কা গুনাতিলাকা। প্রথম পাঁচ ওভারে কোনো উইকেট হারাননি লঙ্কানরা।
ষষ্ঠ ওভারে অভিষিক্ত পেইসার শরিফুল বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন। তরুণ এই পেইসারকে উড়িয়ে মারতে যেয়ে মিড অনে তামিম ইকবালের হাতে ধরা পড়েন পেরেরা। ১৫ বলে ১৪ রান করা লঙ্কান অধিনায়ককে ফিরিয়ে নিজের প্রথম ওয়ানডে উইকেট পান শরিফুল।
ওয়ান ডাউনে নামা পাথুম নিসাঙ্কার সঙ্গে উইকেটে সেট হওয়ার চেষ্টা করেন গুনাতিলাকা। আট ওভার টেকে তাদের জুটি।
১৪তম ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে ডিপ পয়েন্টে ধরা পড়েন এই লঙ্কান ওপেনার। ৪৬ বল খেলে ২৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
সেট হওয়া নিসাঙ্কাকে ফেরায় তামিম-সাকিব জুটি। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সাকিব আল হাসানের বলে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দেন ২০ রান করা নিসাঙ্কা।
এরপর কুশাল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন মেহেদী মিরাজ। ১৫ রান করা মেন্ডিস এলবিডাব্লিউ হন।
মেন্ডিসের পরে ব্যাট করতে নামা ধনঞ্জয়া ডি সিলভাও এলবিডাব্লিউ হন। ২৫তম ওভারের চার নম্বর বলে তাকে ১০ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান সাকিব।
এরপর দাসুন শানাকা ও আগের ম্যাচে উত্তেজনা ছড়ানো ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে আউট করেন মিরাজ। শানাকার ব্যাট থেকে আসে ১১। আর হাসারাঙ্গা ছয় রান করে বোল্ড হন এই অফ স্পিনারের বলে।
এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াইয়ের চেষ্টা করেন আসেন বান্দারা। ১৫ রানে তার প্রচেষ্টার সমাপ্তি টানেন মুস্তাফিজ। ৩১ বল খেলেন তিনি।
এর আগে, মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য সেঞ্চুরির পরও ২৪৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। বৃষ্টিবিঘ্নিত ইনিংসে ৪৮ ওভার এক বলে গুটিয়ে যায় স্বাগতিক দল।