বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বৃষ্টির বাঁধায় দুইবার বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয়েছে খেলা।
দ্বিতীয় বার বৃষ্টির আঘাতে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৪৩.৩ ওভারে ৭ উইকেটে ২১৩। ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
মঙ্গলবার দুপুর থেকেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে মেঘলা ছিল মিরপুরের আকাশ। মাঝে মধ্যেই হচ্ছিল ঝিড় ঝিড় বৃষ্টি। ম্যাচ আম্পায়ার খেলা না থামিয়ে চালিয়ে যান হালকা বৃষ্টিতেই।
৪১.১ ওভারের সময় ভারী বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা। আধ ঘণ্টার মতো বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হলে মাত্র দুই ওভার দুই বল খেলাতে পারেন আম্পায়ার। এরপর আবারও আঘাত হানে বৃষ্টি।
মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। মাঠে নেমে আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করেন তামিম ইকবাল। ইসুরু উদানার প্রথম ওভারে তামিমের তিনটি চারসহ বাংলাদেশ তুলে নেয় ১৫ রান।
দ্বিতীয় ওভারেই ঘটে বিপর্যয়। দুষ্মন্ত চামিরার ওভারের প্রথম বলে এলবিডব্লিউ হন তামিম। লেগ স্টাম্পে পড়া ইনসুইঙ্গারের লাইন মিস করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রথমে বোলারের আপিলে সাড়া দেননি আম্পায়ার। পরে শ্রীলঙ্কা রিভিউ নিলে দেখা যায় বল স্টাম্পে আঘাত হানছে। ছয় বলে ১৩ রান করে ফিরতে হয় তামিমকে।
এর দুই বল পরই ফেরেন সাকিব। চামিরার ইনসুইঙ্গারে পরাস্ত হন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানও। মিডলস্টাম্পে পড়া ইনসুইঙ্গারের লাইন মিস করেন তিনি। শূন্য রানেই বিদায় নিতে হয় তাকে।
এরপর ৩৪ রানের এক জুটিতে বাংলাদেশকে সামাল দেন লিটন ও মুশফিকুর রহিম। লাকশান সান্দাকানের বলে বাজে এক শটে পয়েন্টে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে ক্যাচ দেন লিটন। তাতে উইকেটে সেট হয়েও ২৫ রানে ফিরতে হয় তাকে।
লিটনের বিদায়ের পর উইকেটে মুশফিককে সঙ্গ দিচ্ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। কিন্তু প্রায় দুই বছর পর ওয়ানডে একাদশে ফেরা এ ব্যাটসম্যান মাত্র ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। সান্দাকানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি।
সেখান থেকে জুটি গড়েন মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ। উইকেট বাঁচিয়ে দুজন মিলে সচল করেন রানের চাকা। মাত্র একটি চারের সহায়তায় ৭০ বলে ফিফটি তুলে নেন মুশফিক। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার ৪১তম ফিফটি, ঘরের মাটিতে টানা তৃতীয়।
ফিফটির পথে ছিলেন মাহমুদুল্লাহও। কিন্তু সান্দাকানের বলে স্কুপ করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে হয়নি। এক হাতে দারুণ ক্যাচ নেন শ্রীলঙ্কান উইকেটকিপার কুশল।
এরপর আফিফ হোসেনও টেকেননি বেশিক্ষণ। ইসুরু উদানাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিসটাইমিং করে বসেন। ডিপ মিড অনে ধরা পড়েন নিসাঙ্কার হাতে। তার ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ১০ রান।
আটে নামা মেহেদী মিরাজকে শিকার করে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। এই স্পিনারের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে শূন্য রানে বোল্ড হন মিরাজ। তার আউটের পর বাংলাদেশের সংগ্রহ সাত উইকেটে ১৮৪।