বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে হুট করে শঙ্কার মুখে পড়ে। রোববার সকালে জৈব নিরাপত্তাবলয়ের ভেতর থেকেও শ্রীলঙ্কা দলের দুই খেলোয়াড়সহ তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।
পরবর্তীতে বিসিবি জানায়, তিনজন নয়, করোনা পরীক্ষা পজেটিভ ফল এসেছে কেবল একজনের। বাকি দুজনের ছিল ফলস পজেটিভ। ফলে যথাসময়ে শুরু হয় ম্যাচ।
রোববার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রাঙ্গণে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান জানান, বাংলাদেশ যে জৈব নিরাপত্তাবলয় তৈরি করেছে, সেখানে কারও করোনা আক্রান্ত হওয়াটা কঠিন।
‘শ্রীলঙ্কার তিনজনের পজেটিভ আসে। আগের টেস্টগুলোতে নেগেটিভ ছিল। আমাদের বায়ো বাবলে নেগেটিভ কারও গিয়ে পজেটিভ হওয়াটা অস্বাভাবিক। মানে এটা আমরা মনে করি যে হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও হতে পারে,’ বলেন বিসিবি সভাপতি।
তিনি আরও জানান, পজেটিভ ফল আসার পরই সে তিনজনকে আইসোলেশনে রাখা হয় ও পুনরায় টেস্ট করানো হয়। সেই টেস্টে বাকি দুজনের নেগেটিভ এলেও আসেনি শিরান ফার্নান্দোর।
শিরান ফার্নান্দো কিছু দিন আগেই সেরে উঠেছেন করোনাভাইরাস থেকে। বিসিবি সভাপতির ধারণা, করোনা টেস্টে আগের মৃত আরএনএ ধরা পড়েছে শিরানের। ইতিমধ্যে তৃতীয়বারের মতো করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে তাকে।
‘একজনের পজেটিভ এসেছে। কেন পজেটিভ আসল সেটি দেখতে গিয়ে আমাদের ধারণা, যেহেতু সে কিছুদিন আগেই কোভিড থেকে রিকভার করেছে, তার ডেড আরএনএ পেয়েছে পিসিআর। অনেকের কিন্তু ২৮ দিন পর্যন্ত পাওয়া যায়। যেহেতু ওর ২৮ দিন হয়নি তাই পেতে পারে। এ জন্য আমরা আবার তৃতীয়বার টেস্ট করতে পাঠিয়েছি,’ বলেন নাজমুল।
একই ঘটনা ঘটে বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদকে নিয়েও। প্রথম টেস্টে পজেটিভ ফল এলেও পরের দুই টেস্টে এসেছে নেগেটিভ ফল।
বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, এমন ঘটনার পর আরও সতর্ক হতে যাচ্ছে বিসিবি। এমনিতেই করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ক্রিকেট পরিচালনার জন্য আছে সুনির্দিষ্ট প্রোটোকল, সেটি মেনে চলছে বোর্ড।
তিনি বলেন, ‘প্রোটোকল করা আছে, একবার পজেটিভ হলে কী করতে হবে, কতবার টেস্ট করে শিওর হতে হবে যে সে নেগেটিভ। আমরা ওটা ফলো করছি। কাজেই ওইটা নিয়ে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যেটা খুব চিন্তার বিষয়। তবে নিশ্চিতভাবে আমরা সতর্কতা আরও বাড়াব।’
শ্রীলঙ্কা দলের টিম ম্যানেজার মানুজা কারিয়াপেরুমা রোববার জানান, বাংলাদেশ তাদের যতটুকু প্রয়োজন, তার চেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে।তিনি বলেন, ‘এটা ভালো, আমাদের যে সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে, তা যথেষ্টরও বেশি ও পর্যাপ্ত। বিসিবি সম্ভব সব চেষ্টাই করছে। নিউ নরম্যালের মধ্যে সম্ভব সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এই সময়ে অন্য কোনো দেশে গেলে এসব বুঝতে হবে ও মানিয়ে নিতেই হবে।’