শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সফরকারী দলকে ২৫৮ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে ছয় উইকেটে ২৫৭ রান করে স্বাগতিক দল।
মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের জুটি একসময়ে বাংলাদেশকে নিয়ে যান এমন এক অবস্থানে, যেখান থেকে সম্ভাবনা ছিল স্কোরকার্ডে ৩০০ রান তোলার।
শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশ নিতে পারে মাত্র ৬৪ রান। তাতে জলাঞ্জলি দিতে হয় সেই আশা।
নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশ তুলতে পারে ২৫৭। সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন মুশফিক। সঙ্গে ফিফটি তুলে নেন তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল্লাহ। শেষ দিকে আফিফ হোসেনের ২১ বলে ২৩ রানের ইনিংসে ২৫০ ছাড়ায় বাংলাদেশ।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে অবশ্য শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের নবম বলে দুষ্মন্ত চামিরার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হন লিটন দাস। তিন বল খেলে শূন্য রান করেন তিনি।
পাঁচ রানে এক উইকেট হারানো বাংলাদেশকে কিছুক্ষণ সামাল দেন তামিম ও তিন নম্বরে নামা সাকিব আল হাসান।
দ্বিতীয় উইকেটে ৩৮ রানের জুটি গড়েন এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ১০ ওভারের প্রথম পাওয়ার প্লে-তে আর উইকেট হারাতে দেননি সাকিব-তামিম।
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরপরই আউট হন সাকিব। ১৩ তম ওভারের প্রথম বলে দানুস্কা গুনাতিলাকাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে পাথুম নিশাঙ্কার বলে আউট হন এই অলরাউন্ডার। ৩৪ বল খেলে ১৫ রান করেন সাকিব।
এরপর তৃতীয় উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে শতরানের দিকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন মুশফিক-তামিম।
লঙ্কান বোলারদের অক্লেশে খেলে ক্যারিয়ারের ৫১তম ফিফটি তুলে নেন তামিম। ৬৬ বলে একটি ছক্কা ও ছয়টি চারে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
২৩তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। লঙ্কান এই স্পিনারের পঞ্চম বলে লেগ সাইডে খেলতে যেয়ে লাইন মিস করেন তামিম। ইয়র্কার লেংথের বল আঘাত হানে তার প্যাডে। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তামিম। ৭০ বলে ৫২ রান করে এলবিডব্লিউ হন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
তার পরের বলেই আবারও আঘাত ধনঞ্জয়ার। নতুন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন তাকে সুইপ করতে গেলে বল প্যাডে আঘাত করে তার। বোলারের লেগ বিফোরের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। মিঠুন রিভিউ নিলেও রক্ষা পাননি। ফলে, দুই বলে দুই উইকেটে পাশাপাশি দুটি রিভিউ হারায় বাংলাদেশ।
সেই বিপদ থেকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করেন মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহ। দুজনের ১০৯ রানের জুটিতে দারুণ এক ভিত্তি পায় বাংলাদেশ।
সেই জুটিতে নিজের ৪০তম ফিফটি তুলে নেন মুশফিক। ফিফটির পরে এগোচ্ছিলেন নিজের অষ্টম ওয়ানডে সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু ৮৪ রানে হয় মতিভ্রম, লাকশান সান্দাকানের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে শর্ট থার্ড ম্যানে ইসুরু উদানাকে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুশফিক।
মুশফিকের বিদায়ের পর নিজের ১৬তম ফিফটি তুলে নিলেও, প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ফেরেন মাহমুদুল্লাহ। ধনঞ্জয়ের বলে নিজের স্টাম্প খুইয়ে ৫৪ রানে ফিরতে হয় তাকে।
এরপর শেষ পর্যন্ত আফিফ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন মিলে বাংলাদেশকে নিয়ে যান ২৫৭ রানে।
শ্রীলঙ্কার হয়ে তিনটি উইকেট শিকার করেন ধনঞ্জয়া। একটি করে উইকেট পান চামিরা, সান্দাকান ও গুনাথিলাকা।